ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ এবং জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভিরের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বিবেচনা করছে যুক্তরাজ্য।
ফিলিস্তিনিদের সম্পর্কে হিংসাত্মক ও উস্কানিমূলক মন্তব্যের কারণে যুক্তরাজ্য এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বুধবার বলেছেন, তিনি ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ ও জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভিরের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন।
মূলত স্মোট্রিচ গাজায় বেসামরিক ফিলিস্তিনি নাগরিকদের অনাহারে রাখার পক্ষে কথা বলেছেন এবং বেন-গভির বলেছিলেন, ইসরায়েল-অধিকৃত পশ্চিম তীরে সহিংসতায় যুক্ত বসতি স্থাপনকারী অপরাধীরা আসলে হিরো বা নায়ক।
যুক্তরাজ্যের পূর্ববর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন গত জুলাই মাসে তৎকালীন শাসকদল করজারভেটিভ পার্টির নির্বাচনে হেরে যাওয়ার আগে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করেছিলেন। চলতি সপ্তাহের শুরুতে এই তথ্য প্রকাশ করেন তিনি।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, “আমরা বিষয়টি দেখছি কারণ তারা স্পষ্টতই ঘৃণ্য মন্তব্য করেছেন।”
অবশ্য স্মোট্রিচ এবং বেন-গভির উভয়ই বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার এই হুমকি তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতে পারবে না। বেন-গভির এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এসব বিষয় আমাকে ভীত করে না এবং আমি শুধুমাত্র ‘ইসরায়েলের সর্বোচ্চ জাতীয় স্বার্থ’ অনুযায়ী কাজ চালিয়ে যাব।”
অন্যদিকে অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ বলেছেন, “কোনও হুমকি আমাকে ইসরায়েলের নাগরিকদের জন্য সঠিক এবং নৈতিক কাজ করতে বাধা দিতে পারবে না।”
আল জাজিরা বলছে, স্টারমারের সরকার পূর্ববর্তী কনজারভেটিভ সরকারের তুলনায় ইসরায়েলের বিষয়ে কিছুটা কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সরকার গঠনের পর লেবার প্রশাসন ইসরায়েলে কিছু অস্ত্রের রপ্তানি সীমিত করেছে এবং বেশ কিছু ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে।
বেন-গভির এবং স্মোট্রিচ উভয়ই ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে অবৈধভাবে ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণের সোচ্চার সমর্থক। যদিও এই ধরনের বসতি আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ বলে বিবেচিত।
এছাড়া ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের মানবিক পরিস্থিতি ভয়াবহ বলেও স্টারমার বুধবার আইন প্রণেতাদের জানিয়েছেন।