ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধাদের সন্ত্রাসী হিসেবে অভিহিত করায় ইরাকের রাজধানী বাগদাদে সৌদির একটি টিভি চ্যানেলের অফিসে চার থেকে পাঁচশ মানুষ হামলা চালিয়েছেন। এছাড়া অফিসটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন তারা।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা শনিবার (১৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হামাস ছাড়াও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ এবং ইরাকের সশস্ত্র গোষ্ঠী ইরাকি মোবিলাইজেশন ফোর্সের যোদ্ধাদেরও সন্ত্রাসী হিসেবে অভিহিত করে প্রতিবেদন প্রচার করেছে সৌদির মালিকানাধীন টিভি চ্যানেল মিডেল ইস্ট ব্রডকাস্টিং সেন্টার (এমবিসি)। এরপর টিভি চ্যানেলটির বাগদাদ অফিসে হামলা চালান সাধারণ মানুষ।
ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছ, শনিবার সকালে এমবিসির বাগদাদ স্টুডিওতে চার থেকে পাঁচশ মানুষ হামলা চালান। সংস্থাটি বলেছে, “তারা ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ, কম্পিউটার নষ্ট এবং ভবনের একটি অংশে আগুন ধরিয়ে দেন।”
সিনওয়ারের ময়নাতদন্ত করা চিকিৎসকের চমকপ্রদ তথ্য
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এএফপিকে ইরাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং যেসব মানুষ টিভি অফিসে হামলা চালাতে এসেছিলেন তাদের পুলিশ সরিয়ে দিয়েছে।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস তাদের নিজ দেশের স্বাধীনতার জন্য কয়েক দশক ধরে লড়াই করছে। এছাড়া দখলদার ইসরায়েলের দৌরাত্ব কমাতে এবং লেবানের অখণ্ডতা রক্ষায় কাজ করছে হিজবুল্লাহ। মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ তাদের যোদ্ধা হিসেবেই অভিহিত করে থাকে। তবে নিজেদের অধিকার আদায়ের লড়াই করা এসব যোদ্ধাকে পশ্চিমা দেশগুলো সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য হিসেবে অভিহিত করে থাকে।