গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা নিয়ে সামনে এলো নতুন তথ্য
ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসপ্রাপ্ত গাজার একাংশ
গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা নিয়ে সামনে এসেছে নতুন তথ্য। এ বিষয়ে নতুন করে আলোচনা শুরুর ব্যাপারে ইসরায়েল ও হামাস আগ্রহ দেখিয়েছে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
ইসরায়েলি হামলায় হামাসের প্রধান ইয়াহইয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ার কয়েক দিনের মাথায় এই বিষয়টি সামনে এল। তবে হামাসের এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের পুরোপুরি প্রত্যাহার না করা হলে কোনো চুক্তি হবে না।
টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করার লক্ষ্যে আগামী রোববার (২৭ অক্টোবর) কাতার যাবেন। সেখানে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-এর প্রধান উইলিয়াম বার্নস এবং অন্যান্যদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তার।
এদিকে মিশরের একটি নিরাপত্তা প্রতিনিধিদল কায়রোতে হামাস নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন বলে সরকারি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, মিশরের আল কাহেরা নিউজ টিভি। তবে হামাসের এক শীর্ষ নেতা এএফপিকে জানিয়েছেন, কায়রো অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে হামাসের নেতারা যুদ্ধবিরতির বিষয়ে নিজের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘হামাস যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য নিজেদের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে। তবে ইসরায়েলকে অবশ্যই যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে, গাজা উপত্যকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে, বাস্তুচ্যুত লোকদের ফিরে আসার অনুমতি দিতে হবে, জরুরি ভিত্তিতে বন্দী বিনিময় চুক্তিতে সম্মত হতে হবে এবং গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে।’ তিনি জানান, কায়রোর বৈঠক ছিল যুদ্ধবিরতি আলোচনা পুনরায় শুরু করার জন্য মিশরের চলমান প্রচেষ্টার অংশ।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও গাজায় যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন এবং জিম্মি মুক্তির বিষয়ে মিশরের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
এছাড়া হামাসপ্রধান সিনওয়ার নিহত হওয়ার পরপরই ইসরায়েল ও সৌদি আরব সফর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সেখানে তিনি উভয় দেশকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) লন্ডনে আরব দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদেরও তার বৈঠক করার কথা রয়েছে।
হামাস নেতা ওসামা হামদান লেবাননের সম্প্রচারমাধ্যম আল-মায়েদিনকে বলেছেন, ‘গাজায় (ইসরায়েলি) আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এবং ইসরায়েলি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত দখলদারদের সঙ্গে কোনো বন্দী বিনিময় চুক্তি হবে না।’ হামদান স্পষ্ট করে বলেন, ‘হামাসের হাতে আটক বন্দীদের মুক্তির জন্য যেকোনো প্রচেষ্টা অবশ্যই যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শুরু হবে।’