বিলিয়ন ডলারের আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনায় জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে অর্থ সরানোর ঘটনায় তিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) নিজের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করেন নাজিব রাজাক। তবে দাবি করেছেন, এই কেলেঙ্কারি তিনি শুরু করেননি বা এর ‘মাস্টারমাইন্ড’ তিনি নন। লিখিত বিবৃতি কুয়ালালামপুরের আদালত এলাকায় পাঠ করেছেন তার ছেলে মোহাম্মদ নিজার।
চিঠিতে নাজিব রাজাক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী হিসেবে আমার তত্ত্বাবধানে ওয়ানএমডিবির (মালয়েশিয়ার প্রধান উন্নয়ন তহবিল) বিপর্যয় ঘটেছে জেনে প্রতিদিন আমার কষ্ট হয়। এ জন্য আমি মালয়েশিয়ার জনগণের কাছে নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চাইছি।’
২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে দেশটির প্রধান উন্নয়ন তহবিল ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বেরহাদ থেকে ৪.৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এর সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং তাদের সহযোগীরা ছিলেন। সেখান থেকে ১০ মিলিয়ন ডলার গ্রহণের প্রমাণ পাওয়া যায় নাজিবের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে কমপক্ষে ছয়টি দেশে দুর্নীতির তদন্ত হয়।
পরে বিশ্বাস ভঙ্গ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও মুদ্রাপাচারের অভিযোগে মামলা হয় নাজিবের বিরুদ্ধে। ২০২০ সালে মামলার রায়ে নাজিবকে ১২ বছরের কারাদণ্ড এবং ২১ কোটি রিংগিত জরিমানা করা হয়। পরে মালয়েশিয়ার সাবেক রাজার সভাপতিত্বে একটি ‘ক্ষমা বোর্ড’ এই সাজা অর্ধেক করে দেয়।