ইরানের উপর ইসরাইলের হামলাকে দেশের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক আইন ও নিয়মের লঙ্ঘন উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানায়। খবর আলজাজিরার।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই অঞ্চলে ক্রমাগত উত্তেজনা এবং জনগণের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ এমন সংঘাতের বিস্তার প্রত্যাখ্যান করে দৃঢ় অবস্থান নিশ্চিত করছে সৌদি আরব।
সেইসঙ্গে এই অঞ্চলে অব্যাহত সামরিক সংঘাতের প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করে ‘সর্বোচ্চ সংযম অনুশীলন এবং উত্তেজনা হ্রাস করার’ জন্য সব পক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে রিয়াদ।
ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। শনিবার স্থানীয় সময় ভোর রাতে রাজধানী তেহরান ও কারাজ শহরে দফায় দফায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
ইরানের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, থেমে থেমে বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া যায় শহরগুলোতে। এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা প্রাণহানির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর দাবি, ইরানের হামলার পাল্টা জবাব দিতেই এ হামলা। ইরানে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছেন তারা।
তবে আক্রমণ প্রতিহতের দাবি করেছে তেহরান। ইরানের সংবাদ সংস্থা তাসনিম জানায়, সামরিক ঘাঁটিগুলোতে কোনো ধরণের বিস্ফোরণ হয়নি। এরইমধ্যে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী চারদিক থেকে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে বলেও জানায় সংস্থাটি। এ ছাড়া স্বাভাবিক রয়েছে দেশটির আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের বিমান চলাচল।
চলতি মাসের শুরুতে ইসরাইলে চালানো ইরানের নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবেই এই পাল্টা আক্রমণ বলে জানিয়েছে তেল আবিব।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য নিয়েই এই হামলা চালাচ্ছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইসরাইলের একাধিক গণমাধ্যমের তথ্যমতে, ইরানে হামলা চালানোর বিষয়টি সরাসরি পরিচালনা করছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত।