ইসরাইলি সেনাদের হাতে বন্দি ফিলিস্তিনি পুরুষদের দেয়া হচ্ছে বৈদ্যুতিক শক; আর নির্যাতন করা হচ্ছে নারীদের।এমনকি, কুকুর দিয়ে আক্রমণ করিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করা হচ্ছে শিশুসহ নিরীহ বাসিন্দাদের শরীর। পর্যাপ্ত খাবার পানিও দেয়া হচ্ছে না তাদের।
সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এমন ভয়াবহ তথ্য প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলছে হামাস-ইসরাইল সংঘাত। ধীরে ধীরে আরও জটিল আকার ধারণ করছে পরিস্থিতি। যুদ্ধের শুরুতে দখলদারদের দমনে শুধু ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনের পরিকল্পনা থাকলেও বর্তমানে এতে জড়িয়েছে ইরানসহ আরও অনেকে। পাল্টা জবাবে, নিরীহ গাজাবাসীর ওপর হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে নেতানিয়াহু বাহিনী।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) গাজার মধ্যাঞ্চলীয় মাঘাজী শরণার্থী শিবিরে হামলা চালায় তারা। এতে হতাহত হন অনেকে। একইদিন উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় একটি মসজিদসহ বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি। আহত হন নারী ও শিশুসহ অনেকে। এখানেই শেষ নয়, গাজা সিটির পূর্বাঞ্চলে একটি গাড়িতে হামলায় নিহত হন পথচারীসহ আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর কয়েকজন সদস্য। তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে অধিকৃত পশ্চিমতীরেও।
গাজাবাসীদের শুধু মেরেই ক্ষান্ত হচ্ছে না ইসরাইলি সেনারা। তাদের হাতে বন্দিরা শিকার হচ্ছেন যৌন সহিংসতারও। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানায় জাতিসংঘ। বলা হয়, এখন পর্যন্ত হাজারের বেশি মুক্তি দিয়েছে তেল আবিব। তবে, বেশিরভাগের অভিযোগ তাদের সঙ্গে অত্যন্ত বাজে আচরণ করেছে ইসরাইলি সেনারা। বন্দিশালায় পুরুষদের বৈদ্যুতিক শক দেয়া হয়; আর নারীদের সংবেদনশীল স্থানে ছেঁটানো হয় মরিচের গুঁড়ো। পাশাপাশি কুকুর দিয়ে আক্রমণ করানো হয় তাদের। এমনকি তাদের পর্যাপ্ত খাবার পানিও দেয়া হয়নি।