গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের ভূমিকার সমালোচনা এবং যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ ঠেকাতে একাধিক শিক্ষার্থীকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে মার্কিন পুলিশ।
মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার রাতে নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভ বন্ধ করতে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করলে অন্তত কয়েক ডজন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এমআইটিসহ মার্কিনজুড়ে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসগুলোতে ‘তাঁবু’ খাঁটিয়ে বিক্ষোভ করছে। এমআইটির ছাত্ররা গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যর্থতার সমালোচনা করেন। তারা ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সাথে এমআইটির সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিও জানান।
গত সপ্তাহে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশের প্রবেশ এবং বিক্ষোভকারী একাধিক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আন্দোলন আরও তীব্র হয়। ফলে এই বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট বানার্ড কলেজের সাথে সম্পর্কিত প্রখ্যাত রাব্বি ইলি বুচলার ‘চরম সেমিটিজম বিরোধিতার’ কারণে ইহুদি ছাত্রদেরকে বাড়িতে অবস্থান করার আহ্বান জানান কতৃপক্ষ।
সোমবার এক বিবৃতিতে কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট নেমাত মিনুচে শফিক বলেন, সম্প্রতি ক্যাম্পাসে ঘটে যাওয়া ইহুদিবিদ্বেষী ভাষা, ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানিমূলক আচরণের নিন্দা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সশরীরে ক্লাস বাতিল করছে।
শফিক বলেন, এসকল উত্তেজনা কলাম্বিয়ার সাথে যুক্ত নয় এমন ব্যক্তিদের মাধ্যমে এবং যারা তাদের নিজস্ব এজেন্ডা পূরণ করতে ক্যাম্পাসে এসেছেন তাদের মাধ্যমে ব্যবহৃত হয়েছে এবং বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও ধারণা করছে কতৃপক্ষ।
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলে এবং লস অ্যাঞ্জেলসের সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও তাঁবু খাঁটিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।
বিক্ষোভকারীদের অনলাইনে করা একাধিক ভিডিও পোস্টে দেখা যায়, কলম্বিয়ার কাছাকাছি কিছু বিক্ষোভকারী গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে করা হামাসের আক্রমণকে সমর্থন করছে। আবার কেউ কেউ ইসরায়েলকে ধ্বংস করার কথা জানায়। এছাড়াও ইহুদি শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে মুখিক প্রতিবাদ করতেও দেখা যায় একাধিক ভিডিওতে।
তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় পক্ষের শিক্ষার্থীদের বিষয়টি বিবেচনায় রাখছেন। তারা বলছে, ইহুদি বিদ্ধেষী এবং ইসলামোফোবিয়া উভয় ঘটনাই বেড়েছে। আর ক্যাম্পাসের এসব বিক্ষোভে নিন্দা জানান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।