এবার গাজায় রাতভর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। প্রত্যক্ষদর্শরা জানিয়েছে উত্তরাঞ্চলীয় গাজা শহরে ফাতিমা আল জাহরা মসজিদে চালানো হামলায় ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এতে আরও অনেক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। খবর আল জাজিরা
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানায়, আহত ও নিহতদের মধ্যে অধিকাংশ নারী ও শিশু। হামলা থেকে বাঁচতে তারা ওই মসজিদে আশ্রয় নিয়েছিল। মসজিদটিতে কুরআন শিক্ষা কার্যক্রমও পরিচালিত হত। দারাজের পার্শ্ববর্তী এলাকা আল সাবাহতেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে বেশ কিছু ভবন ও মসজিদকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়।
এদিকে ফিলিস্তিনি জাতিসংঘ বিষয়ক শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে, রাফাহ খালি করতে নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই অনেক ফিলিস্তিনি রাফাহ থেকে খান ইউনিসে গিয়ে ভয়াবহ সংকটের মধ্যে দিন পার করছে।
ইসরায়েল বাহিনীর এমন নির্দেশের পর গত ৬ মে থেকে ৮ লাখ মানুষ রাফাহ থেকে অন্যত্র চলে গেছেন। এদের মধ্যে অনেকে খান ইউনিসে আশ্রয় নিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ ইব্রাহিম রাইসিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ইরানে বিশ্বনেতারা
এবার হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির জানাজা তেহরানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২২ মে) তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তেহরানে অনুষ্ঠানিকতা শেষে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) মাশহাদে দাফন করা হবে রাইসিকে।
আর তার আগেই ইরানে পৌঁছেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, রাইসির দাফনের আগে অন্তত ১৫ জন রাষ্ট্রপ্রধান ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তেহরানে পৌঁছেছেন। ইরানের মেহের নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যারা এরইমধ্যে ইরানে পৌঁছেছেন, তাদের মধ্যে আছেন- কাতারের আমির ও প্রধানমন্ত্রী, তুর্কমেনিস্তানের নেতা, তিউনিসিয়া ও তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, ভারতের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ইরাক, পাকিস্তান, আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়াও ইরাক, রাশিয়া, আলজেরিয়া, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান ও লেবাননের পার্লামেন্ট প্রধানরা ইরানে পৌঁছেছেন। হামাস, হিজবুল্লাহ ও তালেবানের প্রতিনিধিরাও তেহরানে গেছেন বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
এর আগে মঙ্গলবার (২১ মে) ইরানের উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর তাবরিজে রাইসি ও তার সফরসঙ্গীদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সন্ধ্যায় রাইসির মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কুওম শহরে, যেখানে ইব্রাহিম রাইসি পড়াশোনা করেছেন।
কুওমে আরেকটি জানাজা শেষে রাইসি ও তার সঙ্গীদের মরদেহ তেহরানে নেয়া হয়। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাইসিকে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ইরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মাশহাদে (রাইসির জন্মস্থান) দাফন করা হবে।
গত রোববার (১৯ মে) ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন।