দেশের সব জেলার ওপর দিয়ে সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সোমবার (২৭ মে) সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের ওপর দিয়ে পূর্ব বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৩ দিন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে উপকূল অতিক্রম করে। এটি দুর্বল হয়ে বর্তমানে যশোর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় স্থল গভীর নিম্নচাপ হিসাবে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
এর ফলে রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি হ্রাস পেতে পারে।
বুধবার (২৯ মে) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ
হতে পারে। এ সময় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেতে পারে।
বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়, তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে এবং বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে।