সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।
এর ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ আর রাজনীতি করতে পারবে না। গত ১৬ বছরে অনেক খুন, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, মারধর ও ধর্ষণের অভিযোগের সঙ্গে জড়িত এই সংন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ। নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে রাতেই ঢাকাসহ সারাদেশে আনন্দ মিছিল করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন। সেই সঙ্গে মিষ্টি বিতরণও করা হয়েছে। আবার অনেক জায়গায় রঙ দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে সাধারণ জনতা। এ আনন্দ থেকে পিছিয়ে নেই নেটিজেনরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তারা তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে পোস্ট করেছেন।
মো. মোশারফ হোসাইন নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, যারা জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করেছিল, শেষ পর্যন্ত তারাই নিষিদ্ধ হয়ে গেল। এটাই আল্লাহ তায়ালার কৌশল, আলহামদুলিল্লাহ।
মো. সোহাগ মিয়া নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ছাত্রলীগ গত এক দশকে হত্যা, খুন, অপহরণ, ধর্ষণ, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, হল দখল, নিরীহ ছাত্রদের নির্যাতন ও প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ যাবতীয় অপরাধের হোতা। তাই ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা ছিল এদেশের শান্তিকামী আপামর জনতার দাবি। এই দাবি বাস্তবায়নের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সাধুবাদ জানাই।
ইলিয়াস হোসাইন নামে একজন লিখেছেন, অবশেষে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করলো ইউনূস সরকার। বর্তমান সরকারকে বিপ্লবী অভিনন্দন। আলহামদুলিল্লাহ।
মতিউর রহমান নামে একজন লিখেছেন, জন্মলগ্ন থেকেই ছাত্রলীগ একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। এখন থেকে অফিসিয়ালিভাবে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন। এদেরকে যেখানেই পাবেন আপ্যায়ন করে প্রশাসনের হাতে তুলে দিবেন। সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আবার কেউ লিখেছেন, ছাত্রলীগেরে এই অকাল মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।