দুই বন্ধুর স্ত্রীর প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের শাড়ি পাওয়া নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সমালোচনা করে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। ভিডিও বার্তায় সুমন এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
ভিডিও বার্তায় ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সরকারে পক্ষ থেকে সাড়ে ৪শ’ বা ৫শ’ শাড়ি, লুঙ্গি দেয়া হয়, কিন্তু আমার এলাকায় মানুষ থাকে তিন থেকে চার লাখ। তারা আশা করে থাকে সংসদ সদস্য হিসেবে আমি তাদের কিছু না কিছু উপহার দেব। তিনি বলেন, সরকারি বরাদ্দ বন্টন প্রক্রিয়াতে কে, কাকে দিচ্ছে, এর দায় কি এমপি হিসেবে আমি নিতে পারি। আমি সব কিছু বন্টনে সব সময় খোঁজ খবর নিয়ে থাকি। তারপরও কাউকে গরিব মনে করে সরকারের পক্ষ থেকে কিছু উপহার দিয়ে থাকলে তিনি যদি সেটা গ্রহণ না করে তাহলে সেটি ফিরিয়ে দেয়া অথবা প্রকৃত গরিবদের বিতরণ করে দেয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, আমার এলাকার ইতিহাস বদলানো জন্য আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে কাজ করে যাচ্ছি। স্বাধীনতার পর গত ৫০ বছরে প্রধানমন্ত্রী যে ঈদ উপহার দেন এটা আমার এলাকায় এই প্রথম আমিই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করি। যা এর আগে কোনো সংসদ সদস্য করেনি।
এ সময় একটি গণমাধ্যমের সমালোচনা করে সুমন বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে এ ধরনের সৎ লোককে তারা মেনে নিতে পারছে না।
প্রসঙ্গত, অসহায় গরিব ও দুস্থদের মাঝে বিতরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের শাড়ি পেয়েছেন সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক ওরফে ব্যারিস্টার সুমনের দুই বন্ধুর স্ত্রী। কিন্তু তারা ওই উপহার প্রত্যাখ্যান করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে বিষয়টি জানিয়েছেন। যা নিয়ে ইতোমধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
তবে বিষয়টি নিয়ে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক দেশের একটি জাতীয় দৈনিককে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উপহারের তালিকা এবার প্রথম আমি জনগণের মধ্যে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রকাশ করি। প্রকৃত বিষয় হচ্ছে, একটা পক্ষ আছে, যারা আমার ত্রুটি খুঁজে বেড়ায়। এ পক্ষই এখন এ শাড়ি নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।