পুত্রবধূর হাত থেকে বাঁচতে পুলিশের শরণাপন্ন হন ভারতের উত্তর প্রদেশের বুলন্দ শহরের এক বৃদ্ধা। কোনো অত্যাচার-নির্যাতন করে না পুত্রবধূ। বরং পুত্রবধূর ভালোবাসা থেকে মুক্তি পেতে চান বৃদ্ধা। বৃদ্ধার অভিযোগ, তার পুত্রবধূ স্বামীকে ছেড়ে তাকে ভালোবাসতে শুরু করেছেন। আর সেই ভালোবাসা থেকেই রেহাই পেতে চাইছেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দুই বছর আগে একমাত্র ছেলের বিয়ে দিয়েছেন বৃদ্ধা। কিন্তু এর কিছুদিন পর পুত্রবধূ স্বামীকে বাদ দিয়ে শাশুড়ির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেন। এ-ও বলেন, স্বামীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক না হয়ে শাশুড়ির সঙ্গে হলেই ভালো হতো। এ নিয়ে আক্ষেপ করে একটি ভিডিও বানানো হয় বলেও জানিয়েছেন বৃদ্ধা।
শাশুড়ির অভিযোগ, তার প্রতি পুত্রবধূ দুর্বল হয়ে পড়ে। স্বামীকে ছেড়ে সারাক্ষণ তার আশপাশে থাকতে পছন্দ করেন পুত্রবধূ।
ওই পুত্রবধূ দাবি করেন, স্বামী নয় বরং শাশুড়ির প্রতি মন-প্রাণ উজাড় করে দিয়েছেন তিনি। পুত্রবধূ তাকে আরও জানান, ছেলের সঙ্গে বিয়ে একটি অজুহাত। তার ইচ্ছা ছিল শাশুড়ির সঙ্গে জীবন কাটানো। এমনকি শ্বশুরের সঙ্গে শাশুড়ির থাকাতেও আপত্তি তোলেন তিনি।
বৃদ্ধা অভিযোগ করেন, প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া দিতে ছেলের বউ তাকে জোর করেছেন। এমনকি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করতে চান বলেও জানিয়েছেন। তবে বৃদ্ধার দাবি, তিনি তাকে পুত্রবধূ হিসেবে স্নেহ করেন, ভালোবাসেন। এর বেশি কিছু নয়। অন্য সম্পর্কে তার পক্ষে জড়ানো সম্ভব নয়। তবে শাশুড়ির এসব কথায় কান দিতে রাজি নয় পুত্রবধূ। এমনকি শাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্সও চেয়েছেন।
বৃদ্ধার সন্তান বলেন, “আমার স্ত্রী আমাদের বৈবাহিক বন্ধনে আগ্রহী নয় বলে জানিয়েছে। সে আমার মায়ের সঙ্গে থাকতে চায়। মা এই সম্পর্ক মেনে না নিলে সে মরে যেতে রাজি।” তবে বিষয়টি এখানেই থেমে থাকেনি। পুত্রবধূর বাবার বাড়ি থেকে বলা হয়েছে, ২০ লাখ রুপি পেলে মেয়েকে নিয়ে চলে যাবে তারা। শাশুড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।