এমপির আনার হত্যাকাণ্ডের রহস্য বেড়িয়ে আসছে এখনো। আনারের মরদেহ এখনো উদ্ধার হয়নি। কিন্তু এর মধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে কয়েকজনকে। সবশেষ একজন কসাইকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি।
সিআইডি বলছে, এমপি আনারকে হত্যার পর তার দেহ টুকরো টুকরো করে কেটেছে গ্রেপ্তার কসাই জিহাদ হাওলাদার। সে নিজেই বিষয়টি স্বীকার করেছে।
হত্যাকাণ্ডের তথ্যের খোঁজে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জিহাদকে হেফাজতে নেওয়ার কথা ভাবছে তদন্তকারীরা। এজন্য জিহাদকে আজ শুক্রবার আদালতে তোলা হবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে খুনের জন্য কসাই পেশায় থাকা জিহাদকে ভাড়া করেছিল খুনিরা।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, জিহাদ হাওলাদার। বাংলাদেশের নাগরিক। অবৈধভাবে মুম্বাইয়ে বসবাস করত। পেশায় কসাই। ঘটনার দুমাস আগে কলকাতায় নিয়ে আসে হত্যার পরিকল্পনাকারী শাহীন। তার পরই এমপি আনারকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়। চারজন মিলে আনারকে খুন করা হয়। সেখানেই তার দেহাংশ থেকে হাড় এবং মাংস আলাদা করা হয়।
টুকরো টুকরো করে কেটে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরা হয় দেহাংশ। প্লাস্টিক ব্যাগ নিয়ে ফ্ল্যাট থেকে বেড় হয় খুনিরা। বিভিন্ন গাড়িতে চড়ে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়ায় তারা। কলকাতার একাধিক এলাকায় ফেলা হয় দেহাংশ।
গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান তিনি। ১৩ মে তিনি হোয়াটসঅ্যাপে জানান, দিল্লি যাচ্ছেন। এরপর তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি। এরপর কলকাতার পুলিশ জানায়, আজিম খুন হয়েছেন।
আনোয়ারুল আজীম ঝিনাইদহ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।