বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট শাখা থেকে গ্রাহকের ১ কোটি ২০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন ক্যাশিয়ার সুজন রহমান ও তার পরিবার। এ ঘটনায় বুধবার (২৮ মে) চাঁপাপুর ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট শাখার স্বত্বাধিকারী নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে।
মামলার আসামিরা হলেন ব্যাংকের ক্যশিয়ার গোবিন্দপুর গ্রামের সুজন রহমান, তার বাবা এনামুল হক ও মা রুবিয়া খাতুন।
মামলা সূত্রে থেকে জানা গেছে, আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর বাজারে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ এজেন্ট শাখার তত্ত্বাবধায়ক গোবিন্দপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ছয়জন কর্মচারী নিয়ে পাঁচ বছর ধরে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। সুজন রহমান ওই ব্যাংকের ক্যাশিয়ার ছিলেন। ৩ হাজার ৫০০ জন গ্রাহক অনলাইন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ব্যাংকটিতে লেনদেন করে আসছিলেন।
গত ২৩ মে সকাল থেকেই ক্যাশিয়ার সুজন রহমান কর্মস্থলে অনুপস্থিত। ২৬ মে গ্রাহকরা টাকা তুলতে এসে দেখেন, তাদের অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই। এ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হলে নুরুল ইসলাম অনলাইন অ্যাকাউন্ট চেক করে দেখেন, মাতাপুর গ্রামের ফরিদা বেগম, পালনকুড়ি গ্রামের রেহেনা, দিঘিরপাড় এলাকার এমদাদুল হক, ঝাকইড় গ্রামের আজিজার রহমান, বাহাদুরপুর গ্রামের মাহফুজা বেগমসহ ৪০ জনের অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা জমা না করে আত্মসাৎ করেছেন ক্যাশিয়ার।
আদমদীঘি থানার ওসি রাজেশ কুমার চক্রবর্তী জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।