মাদারীপুরের ডাসারে ইজিবাইক চাপায় লুচন বিশ্বাস (৫) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১ জুন) দুপুরে উপজেলার শশিকর বাজারের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত লুচন বিশ্বাস ডাসার উপজেলার দক্ষিণ শশিকর এলাকার লিটন বিশ্বাসের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে শশিকর বাজারের পূর্বপাশে বটতলা মন্দিরের কাছে রাস্তা পার হতে গিয়ে একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে পড়ে যায় শিশুটি। এ সময় ইজিবাইকের চাকা শিশুটির মাথার ওপর দিয়ে চলে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় চালক ইজিবাইকটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ভাসাই শিকদার বলেন, মৃত্যুর খবর পেয়েছি। তবে ইজিবাইক চলককে এখনও ধরা যায়নি।
আরও পড়ুনঃ একই দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল দুই শিক্ষক, এক শিক্ষার্থীর
গোপালগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষক, এক শিক্ষার্থীসহ চার জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৮ মে) রাতে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের হরিদাশপুর এলাকায় এবং একই উপজেলার চাপাইল সড়কে চাপাইল এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে। গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান দুর্ঘটনায় নিহত হবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার দেবাসুর গ্রামের কানাই দাসের ছেলে ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারী মহিলা কলেজের শিক্ষক পিনাকী রঞ্জন দাস (৫৭), একই উপজেলার কড়িগ্রামের রেবতী সরকারের ছেলে ও এম.এইচ.খান ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক বাবুল সরকার (৪৮), পুঁইশুর গ্রামের আব্দুল আলী মোল্লার ছেলে ইমাদ পরিবহনের সুপারভাইজার জুয়েল মোল্লা (৪২) এবং গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোষেরচর দক্ষিনপাড়া গ্রামের বাবু শেখের ছেলে ও ৫ম শ্রেণীর ছাত্র রামিম শেখ (১০)।
ওসি মোহাম্মদ আনিচুর রহমান জানান, একটি মোটর সাইকেলে করে কাশিয়ানী থেকে গোপালগঞ্জ শহরের আসছিলেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারী মহিলা কলেজের শিক্ষক পিনাকী রঞ্জন দাস, এম.এইচ.খান ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক বাবুল সরকার ও ইমাদ পরিবহনের সুপারভাইজার জুয়েল মোল্লা। এসময় মোটর সাইকেলটি হরিদাশপুর এলাকায় পৌঁছালে সেতু পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দিলে মহাসড়কে ছিটকে পড়ে তিনজনই মারাত্মক আহত হন।
পরে তাদেরকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিস্ট জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জুয়েল মোল্লা মারা যায়। বাকি আহত দুই শিক্ষককে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিক্ষক পিনাকী রঞ্জন দাস ও বাবুল সরকার মারা যান।
অপরদিকে, সদর উপজেলার চাপাইল সড়ক পাড় হতে গেলে ৫ম শ্রেণীর ছাত্র রামিম শেখকে মাটি টানা একটি ট্রলি চাপা দেয়। এতে সে মারাত্মক আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রামিম মারা যায়।