বরিশালের গৌরনদীতে কিশোরীকে মাদক সেবন করিয়ে মোবাইল ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে নির্যাতনের পর রাস্তায় ফেলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিক হৃদয় গাজীর বিরুদ্ধে।
পাঁচদিন বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অজ্ঞাত পরিচয়ের রোগী হিসেবে চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার রাতে ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে।
নিহত কিশোরী নুসরাত জাহান ঝুমুর উপজেলার কান্ডপাশা গ্রামের আব্দুর রহমান খানের মেয়ে। ঘটনার পরপরই গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত প্রেমিক হৃদয়।
মঙ্গলবার (৪ জুন) নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার নলচিড়া খানাবাড়ি এলাকার মাহবুব গাজীর ছেলে হৃদয় গাজীর সঙ্গে নুসরাতের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই সম্পর্কের সূত্র ধরে ২৯ মে কৌশলে তাকে ডেকে নিয়ে যান হৃদয়।
পরে হৃদয় নুসরাতকে মাদক সেবন করিয়ে নির্যাতন করে মোবাইল ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে যান। একপর্যায়ে মহাসড়কের পাশে ফেলে পালিয়ে যান হৃদয়।
নিহতের বোন নূপুর বলেন, নুসরাতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, হৃদয় তার বোনকে নির্যাতন করে মহাসড়কের পাশে ফেলে পালিয়েছেন।
গৌরনদী থানার ওসি (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম জানান, লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।