বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া বেল্লাল হাওলাদার পুলিশের গুলিতে চোখ হারাতে বসেছেন। তিনি পেশায় একজন অটোচালক। তিনি ডান চোখে অল্প দেখতে পেলেও বাম চোখে মোটেও দেখতে পাচ্ছেন না। বেল্লাল ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কয়া বাজার গ্রামের মো. তৈয়ব আলী হাওলাদারের ছেলে।
বেল্লাল হাওলাদার জানান, গত ১৮ জুলাই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় মাইকিং করে এলাকাবাসীর সহযোগিতা চাইলে তারাও অংশগ্রহণ করেন ওই ছাত্র আন্দোলনে। তখন পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে (গুলি) পিঠে ও চোখে লাগে তার (বেল্লাল)। একপর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে পাঠায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় ঢাকার আগারগাঁওয়ে একটি চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
তিনি জানান, গত ১০ বছর আগে আমার বাবা মারা যায়। তারপর থেকে আমি অটোরিকশা চালাই। আমার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। মাও গৃহিণী। আমার এই মুহূর্তে আর্থিক সংকটে। চোখের আলো ফেরাতে উন্নতর চিকিৎসা পেতে তিনি সরকারের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন। গত ১৪ আগস্ট বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় মিছিলে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে তিনি এসব কথা জানান।
চোখ হারানো বেল্লালের মা হনুফা বেগম জানান, সংসারে তো টানাপোড়া চলে। আমার সন্তানের একটি চোখ বেতাল অবস্থা। তারে (বেল্লাল) যেন কেউ কিছু একটা স্থায়ী ব্যবস্থা করে দেয় যাতে আমার সংসার চালাতে পারে। তার বাবা নেই।