হঠাৎ করেই আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনায় ছিল বরখাস্ত হতে পারেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের লংকান হেডমাস্টার। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর এক প্রকার টিকে গিয়েছিলেন হাথুরু। তবে ভারতের বিপক্ষে যাচ্ছে তাই পারফর্ম করার পর সমালোচনার তির আবার ঘুরেছে তার দিকে। শেষ পর্যন্ত হয়ত আজ সোমবারই বাংলাদেশ অধ্যায় শেষ করতে হচ্ছে হাথুরুসিংহেকে।
হঠাৎ করেই আজ মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করতে যাচ্ছেন ফারুক আহমেদ। বিসিবি সভাপতি দুপুর সাড়ে তিনটায় মিরপুর শের-ই বাংলার মাঠে কথা বলবেন গণমাধ্যমের সঙ্গে। সকাল থেকেই গুঞ্জন ছিল হাথুরুর বরখাস্তের বিষয়ে। আকস্মিক সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণার পর সেই গুঞ্জন আরও খানিকটা জোর পেয়েছে।
২০২৩ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের কোচ হয়ে আসেন শ্রীলঙ্কার কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ৩৫ হাজার ডলারে তার সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে। যে চুক্তির মেয়াদ ছিল ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ধারণা করা হচ্ছে, চুক্তি অনুযায়ী মেয়াদ পূরণ না করেই ছাঁটাই করা হবে হাথুরুসিংহেকে।
এমন বিশ্বাসের কারণ এক সপ্তাহ আগের বিসিবির বোর্ড মিটিং। গত ৭ অক্টোবর বিসিবির বোর্ড মিটিং শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে হাথুরুসিংহের প্রসঙ্গও উঠে আসে। সে সময় বিসিবি সভাপতি ফারুক বললেন, ‘দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো, এরকম কথা কিন্তু আমরা জাতীয় দলের ক্ষেত্রে বলতে পারব না…।’
এরপর ফারুক খোলাসা করে বললেন, ‘নাহ, রাখব না। এটার জন্য সময় দিতে হবে। এখনও কিন্তু ছয় মাস বাকি আছে মেয়াদের। এখনও তিনটি সিরিজ আছে সামনে, ছয় মাস সময় আছে। আমরা চেষ্টা করছি, ইতিবাচক কিছু তাড়াতাড়ি দেখতে পাবেন। আমি যদি কিছু না করি, ফলপ্রসূ কিছু না পেলেও হুট করে সিদ্ধান্ত নিতে পারব না। তবে এটা এখনও আমাদের চিন্তায় আছে, মাথায় আছে এটা। খুব শিগগিরই দেখতে পাবেন, আগের মতোই বলছি…।’
তবে চুক্তি অনুযায়ী মেয়াদ পূর্ণ না করে ছাঁটাই করা হলে জরিমানা দেয়ার কথা আসতে পারে লঙ্কান কোচের পক্ষ থেকে। যেটার হতে পারে প্রায় ১ লাখ ডলারের কাছাকাছি। কিন্তু এর বিপরীতে যুক্তি আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছেও। চলতি মেয়াদে নিজের প্রাপ্য ছুটির চেয়েও বেশ অনেকটা দিন বেশি ছুটি নিয়েছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। সেই সংখ্যাটাও প্রায় ৯০ দিনের কাছাকাছি। এটাকেই সামনে আনতে পারে বিসিবি। এছাড়া দলের মাঝে বিভাজন এবং অসাদাচারণের কিছু অভিযোগও আছে তার নামের পাশে। সেই সঙ্গে আইসিসি ইভেন্টে তার ব্যর্থতাও আছে আলোচনার টেবিলে।
ধারণা করা হচ্ছে নতুন করে দলের থাকা বিদেশি কোনো কোচকেই দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান কোচের। কেননা চলতি বছরে এখনো কয়েকটি সিরিজ বাকি রয়েছে। ঘরের মাঠে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ থেকেই দেখা যেতে পারে নতুন কোচ। এরপর নভেম্বরে আরব আমিরাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ। নভেম্বরের শেষ থেকে ডিসেম্বরে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর। তারপরেই নতুন বছরে আছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর।