আপাতত সবাইকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
সোমবার (০৫ আগস্ট) রাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা তুলে ধরতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়করা এ কথা জানান।
আপাতত সবাইকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
সোমবার (০৫ আগস্ট) রাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা তুলে ধরতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়করা এ কথা জানান।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-নাগরিকের প্রস্তাবিত অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকারের কাছেই ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। এর বাইরে কোনো সরকার মেনে নেওয়া হবে না।
বিবৃতিতে বলা হয়, ফ্যাসিস্ট, খুনিদের বিচার বাংলার মাটিতে করা হবে, পালানোর সুযোগ দেওয়া হবে না।
এতে আরও বলা হয়, সন্ধ্যার মধ্যে নিরপরাধ ব্যক্তি, রাজবন্দি ও গুমকৃত ব্যক্তিদের মুক্ত করা হবে।
বিবৃতিতে সমন্বয়করা বলেন, শুধু হাসিনা সরকারের পদত্যাগ নয়, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ করে নতুন বাংলাদেশ ও রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বিনির্মাণ করা হবে।
এ ছাড়া এদিন সন্ধ্যায় একটি টেলিভিশনে তারা বলেন, ছাত্রজনতা মিলে অভ্যুত্থানের সূচনা হয়েছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি রূপরেখা এ ছাত্রজনতা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে। এ সরকারে ফ্যাসিবাদের দোসর-সমর্থক কেউ থাকতে পারবে না।
সমন্বয়করা জানান, তারা বাংলাদেশের সামগ্রিক অবস্থার পরিবর্তন চান। নাহিদ ইসলাম বলেন, তারা এমন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চান যেখানে বাংলাদেশে আর কখনো ফ্যাসিবাদী, স্বৈরতান্ত্রিক বা আরেকটি শেখ হাসিনার জন্ম না হয়।