প্রথমবারের মতো আইসিটি বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। বৈঠকে আইসিটি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার, অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সোমবার দুপুরে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।
এসময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ইন্টারনেট বন্ধের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। ইন্টারনেট বন্ধ করে শত শত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। অবশ্যই যারা এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। এক্ষেত্রে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ জড়িত সবার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। নাগরিক অধিকার ক্ষুণ্নের দায়ে তাদের বিচার করা হবে।
নাহিদ বলেন, যদি পুনরায় বিস্তারিত তদন্ত করতে হয়, সেটি করা হবে। এ ক্ষেত্রে সরকার, মন্ত্রী বা অন্যকোনো সংস্থার লোক যুক্ত হয়, তাদের অবশ্যই বিচার করা হবে। এটি মানুষের মানবাধিকারের বিষয় অবাধ তথ্যপ্রবাহ ও ইন্টারনেট নিশ্চিত করা। যারা বন্ধ করে দিয়েছে, তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে এবং বন্ধ করে শত শত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। অবশ্যই এই প্রক্রিয়ায় যারা জড়িত তাদের বিচার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন আজকে পাওয়া যাবে। এরপর যদি পুনরায় তদন্ত প্রয়োজন হয় তাহলে সেটিও আমরা করব। এই প্রক্রিয়ায় সরকারের লোক, মন্ত্রী বা অন্য যে কোনো সংস্থার লোক জড়িত থাকলে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। তথ্যপ্রবাহের অবাধ ব্যবহার এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করার নিশ্চয়তা মানুষের মানবাধিকারের বিষয়। তারা এটি বন্ধ করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন।
এ সময় বৈষম্য আন্দলনে শরিক স্টার্টআপ কোম্পানির বিনিয়োগ বাতিলবিষয়ক প্রশ্নের জবাবে শিগগিরই তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া এবং সাইবার সুরক্ষা আইনের বিতর্কিত ধারা বাতিল ও মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি তদন্তে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও জানান উপদেষ্টা।
টেন মিনিট স্কুলে আবারও বিনিয়োগ শুরু হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আন্দোলনের পক্ষে থাকার কারণে কেউ যদি বঞ্চিত হয়ে থাকেন, অবশ্যই তাদের প্রতি সুবিচার করা হবে এবং তাদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করা হবে।
ইন্টারনেট বন্ধে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, আন্দোলনের সময় বিভিন্ন স্টার্টআপ—যারা শিক্ষার্থীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল, তাদের প্রতি বিরূপ আচরণ করা হয়েছিল। তাদের বিনিয়োগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ওই সময় এবং খুবই স্বৈরতান্ত্রিকভাবে এই কাজটি করা হয়েছিল। আমরা এই বিষয়টির নিন্দা জানিয়েছি। দ্রুত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে এবং পুনরায় তাদের সঙ্গে কাজ করার যে প্রক্রিয়া ছিল, সেটি চালু করা হবে।
সার্বিকভাবে কাঠামোগত সংস্কারের কথা আমরা বলছি; সব মন্ত্রণালয়েই যাতে এটা করা হয় উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, আমরা সরকারের জায়গা থেকে ভাবছি, বিদেশে বাংলাদেশি যেসব তরুণরা পড়াশোনা করছে, দক্ষতা অর্জন করেছে। তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে, দেশ গঠনের প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা।