ওরা ভেবেছিল তথাকথিত অভ্যুত্থানের আড়ালে আমাদের শেষ করে দিবে। কিন্তু আমরা মরিনি, আমরা আছি। এমনটাই এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলি আরাফাত। বুধবার (১৪ আগস্ট) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের ভেরিফায়েড আইডি থেকে এক দীর্ঘ পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
কোনো বিচার ছাড়াই তাদের হত্যা করা হতে পারে, এমন শঙ্কা থেকেই কৌশলগত কারণে আড়ালে আছেন বলে জানান আফারাত।
পোস্টে আরাফাত বলেন, আগস্টের ৫ তারিখে আমরা ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছি। সেই দিনই ঘাতকেরা ৪৫০টি থানায় আক্রমণ চালায় এবং নির্মমভাবে হত্যা করে ১৫ জন পুলিশ সদস্যকে। আহত করে আরও অগনিত পুলিশ সদস্যদের। আনসার ও বিজিবি সদস্যদের উপরও হামলা চালানো হয়।
পোস্টে কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে তৎকালীন সরকারের নেয়া বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন সাবেক এই তথ্য প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, কোটা আন্দোলনের সময় ১৬ জুলাই নিহত আবু সাইদসহ অন্যান্য হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আমরা নিন্দা জানিয়েছিলাম, দুঃখ প্রকাশ করেছিলাম, বিচার বিভাগীয় তদন্তের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। আবু সাইদসহ অন্যান্য যারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিল, তাদের পারিবারের সদস্যদের সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখা করেছিলেন, তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রতিটি হতাহতের ঘটনার তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনকে সহযোগিতা করার জন্য বিদেশি বিশেষজ্ঞ আনার ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছিল। আন্দোলনের সময় নিহত মীর মুগ্ধের বাসায় শিক্ষামন্ত্রী গিয়েছিল এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করেছিল।
তিনি আরও বলেন, কোটা আন্দোলনের সময় যতগুলো দুঃখজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে তার মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং পুলিশ সদস্যরাও ছিল। কিন্তু ঢালাওভাবে সকল মৃত্যুর দায় আমাদের সরকারের উপর দেয়া হয়েছে।
এত লাশের উপর দিয়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থকতে চাননি বলেও দাবি করা হয় তার পোস্টে। বলেন, কিন্তু লাশের উপর দিয়ে যারা ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল, তারা তো এখন ক্ষমতার অংশীদার, তাহল তারা কেন আরও লাশ ফেলছে?
এছাড়া বলেন, ইনশাল্লাহ আমরা ছিলাম, আমরা আছি, আমরা থাকবো। ৩০ লক্ষ শহীদের ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া এই স্বাধীনতা এ দেশের জনগণই রক্ষা করবে।