রাজবাড়ীর পাংশায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় মো. রাসেল (২২) নামে এক শিক্ষার্থীর ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে জখম করেছে ছাত্রলীগের কর্মীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১ টার দিকে পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ক্লাব চত্বর এলাকায় এ হামলা চালানো হয়।
আহত মো. রাসেল জেলার পাংশা উপজেলার হাবাসপুরের মো. আবু বক্কারের ছেলে।
তিনি হাবাসপুর ডা: মোতাহার হোসেন ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র, ছাত্রশিবিরের কর্মী।
হামলাকারীরা হলেন-পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের সেলিম এর ছেলে সালাউদ্দিন, বাবু শেখ এর ছেলে শান্ত শেখ, আলীর ছেলে পারভেজ, ছাচ্ছু মন্ডলের ছেলে রিফাদ ও জাহাঙ্গীরের ছেলে স্বাধীন সহ অজ্ঞাত ১০-১৫ জন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আহত মো. রাসেল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করায় দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্ত ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলার পায়তারা চালাচ্ছিল। আজ দুপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা প্রথমে লোহার রড দিয়ে শিবির কর্মীর মাথায় আঘাতে করলে মাটিতে পড়ে যায়।
আহত মো. রাসেল বলেন, ৫ আগস্টের আগেও হামলাকারীরা ছাত্রলীগের ক্যাডার ছিল। এখন আবার ছাত্রদলের ক্যাডার পরিচয় দিয়ে আমার ওপর হামলা চালিয়েছে। তারা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে।
তিনি আরও বলেন, আমি আমার সহকর্মীদের মধ্যে থানা অভিযোগ দিয়েছি। আমি আশা করি দ্রুত ছাত্রদল নামধারী ছাত্রলীগের এই ক্যাডারদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনবে।
পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, এখনো লিখত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।