অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। সোমবার উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই সাব্বির হোসেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদার আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন। তাতে আসামি করা হয়েছে হিমুর কথিত ‘বয়ফ্রেন্ড’ জিয়াউদ্দিন রুফিকে।
চার্জশিটে বলা হয়, ছোটপর্দার অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ১০ নম্বর সেক্টরে থাকতেন। অভিনেত্রীর দীর্ঘ দুই দশকের ক্যারিয়ারে ছিল নানা চড়াই-উৎরাই। বিয়ে করলেও সংসার ঠিকঠাক করা হয়ে ওঠেনি তার। একপর্যায়ে বিয়েবিচ্ছেদ হয় তার।
হিমুর কথিত প্রেমিক ছিলেন মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফি নামে একজন। আত্মহত্যার ছয় মাস আগে থেকে অভিনেত্রীর বাসায় নিয়মিত যাতায়াত ছিল রুফির। এমনকি মাঝেমধ্যে ওই বাসায় রাত্রিযাপন করতেন তিনি।
সম্পর্কের এক পর্যায়ে রুফির মোবাইল ফোন নম্বর ও বিগো আইডি ব্লক করে দেন হিমু। এ নিয়েই তাদের মনোমালিন্য হয়। তখন হিমুকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেন রুফি। পরে গত বছরের ২ নভেম্বর বাথরুমে ঢুকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন হিমু। রাগে ও অভিমানে অভিনেত্রী এমনটা করেছেন বলে জানা যায়। ঘটনার রাতেই হিমুকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে তার মামা নাহিদ আক্তার বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেন।
মঞ্চ নাটকের মাধ্যমে অভিনয় জগতে পা রাখেন হুমায়রা হিমু। ২০০৬ সালে টেলিভিশন নাটক ছায়াবীথিতে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। বড় পর্দাতেও অভিনয় করেছেন হিমু। ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ সিনেমার মাধ্যমে সিনেমায় অভিষেক হয় তার।