Thursday, November 7, 2024

মাহিয়া মাহিকে বিমানবন্দরে দেড় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ

আরও পড়ুন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থী ও মানুষের তোপের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তার দেশত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়তেই আওয়ামী লীগ এবং দলটির সহযোগী অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরাও দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেন। কেউ কেউ আত্মগোপনেও চলে যান। যদিও ইতোমধ্যে কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আওয়ামী সরকার পতনের পর কোনো ধরনের অপরাধী যেন দেশ ছাড়তে না পারে, এ জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেই ধারাবাহিবতায় বিমানবন্দরেও নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী অতিক্রম করে তবেই দেশ ছাড়তে পারছেন। এবার এই নিরাপত্তা বেষ্টনীর মুখে পড়েছিলেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।

সম্প্রতি এ নায়িকা গিয়েছিলেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। সেখানে যাওয়ার পর কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষায় রাখা হয় তাকে। উদ্দেশ্য একটাই, অন্যসব নাগরিকের মতো তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা। অপরাধীদের তালিকায় নাম রয়েছে কিনা তা যাচাই করা। আর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় নথিপত্র খোঁজ করা হয়।

বুধবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় চ্যানেল 24 অনলাইনের সঙ্গে আলাপকালে নায়িকা মাহি বলেন, বিমানবন্দরে যাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। শুধু যে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, বিষয়টি এমন নয়। প্রতিটি মানুষকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কোনো গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে নাম রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হয়েছে।

এ অভিনেত্রী বলেন, ঘণ্ট দেড় সময়ের মতো বসেছিলাম আমি। এই সময়ের মধ্যে কর্তৃপক্ষ আমার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে চেয়েছে যে, আমার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ রয়েছে কিনা। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট চেক করার পর তবেই ছেড়েছে আমাকে।

এদিকে বিমানবন্দরে এমন নিরাপত্তাকে খুব পজিটিভভাবে দেখছেন ‘অগ্নি’ খ্যাত নায়িকা। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ অবশ্যই ভালো বিষয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তো আমাদের স্বার্থেই কাজ করছে। শুধু বিমানবন্দর নয়। রাস্তায় যখন গাড়ি নিয়ে বের হই আমি, তখন আমার গাড়ি চেক করতে আসলে আমি তাদের আরও সহায়তা করি।

প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরে সিনেমায় সেভাবে দেখা না গেলেও রাজনীতির মাঠে সরব ছিলেন চিত্রনায়িকা মাহি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে বিভিন্ন সময় দাবি করে এসেছেন নিজেকে। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদেও ছিলেন এ অভিনেত্রী।

এছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রার্থী ছিলেন তিনি। তবে দল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন এ অভিনেত্রী।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ