Thursday, November 7, 2024

রাজনৈতিক দল গঠনের দিকেই কী এগিয়ে যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন?

আরও পড়ুন

রাজনৈতিক দল গঠনের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন- তাত্ত্বিক ও বিশ্লেষকরা তেমনটাই মনে করছেন। তাদের অভিমত, প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলো তরুণদের আকাঙ্খা ধারণ করে না। তাই দল গঠনের বিকল্প নেই। অবশ্য শিক্ষার্থীদের দাবি, অভ্যুত্থানের অর্জন ধরে রাখতেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে প্লাটফর্মকে ঐক্যবদ্ধ করতে চান তারা।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে গঠিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পরবর্তীতে ‘২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বেও চলে আসে ঘটনাক্রমে। অন্তর্বর্তী সরকারে এই আন্দোলনের তিনজন প্রতিনিধি রয়েছেন। নতুন সরকার গঠনের আড়াই মাস পর, ২২ অক্টোবর চার সদস্যের আহবায়ক কমিটির ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

এই আহবায়ক কমিটির মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ বলছেন, আঞ্চলিকভাবে অনেকগুলো গ্রুপ গড়ে উঠেছে। তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ এবং প্রকৃত বিপ্লবীদের বেছে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের জন্য জেলা-উপজেলায় কমিটি গঠন করা আহবায়ক কমিটির লক্ষ্য।

এটি কখনও কোন রাজনৈতিক দল হবে না। শুধুমাত্র বিল্পবের একটি প্লাটফর্ম বলেও জানান তিনি।

সময়ের সবচেয়ে আলোচিত রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার বলছেন, বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলো তরুণদের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে না বলেই সংগঠিত হওয়ার প্রয়াস নিয়েছে ছাত্ররা। ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দলও হতে পারে তাদের মাধ্যমে।

তিনি বলেন, তাদের এই সংগঠন হওয়াই বুঝিয়ে দিচ্ছে দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলো তরুণদের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করতে পারছে না। এজন্যই তারা ভাবছে নতুন করে সংগঠিত হতে হবে। যেখান থেকে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দল হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. সাব্বির আহমেদ মনে করেন, সংগঠিত না হলে তাদের অর্জন ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে- এই বোধ থেকেই তারা রাজনৈতিক দল গঠন করার পথেই এগোচ্ছে।

ভবিষ্যৎ পুরানো রাজনৈতিক দলের ওপর নির্ভর করবে নাকি নিজেদের শক্তিতে এগিয়ে যাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন- সেদিকে নজর থাকবে বিশ্লেষকদের।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ