বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, দেশে আর ফ্যাসিবাদের পুর্নবাসন করতে দেয়া হবে না। পরবর্তীতে সরকারে কে আসবে সেটা নির্ধারণ করবে দেশের জনগণ, মানে আপনারা। আপনারা যদি এমন কাউকে নির্ধারণ করেন যারা পূর্বের মত ফ্যাসিবাদের প্রতিষ্ঠা করবে, সেটার দায়ভারও আপনাদের নিতে হবে। এখন আপনারাই সিদ্ধান্ত নেন কাকে আগামীতে ক্ষমতায় আনবেন।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দেবিদ্বার উপজেলা শাখার উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ১২ শহিদ পরিবার ও ৪০ জন আহতদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, শহিদ পরিবার ও আহতদের পুর্নবাসনের দায়িত্ব হচ্ছে সরকারের। আজকে যে অর্থ সহায়তা দেয়া হচ্ছে, তা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে দেয়া হচ্ছে। তবে একটি পরিবারও পুর্নবাসন ছাড়া থাকবে না।
নিজ এলাকা দেবিদ্বার প্রসঙ্গে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, দেবিদ্বারে কোনভাবেই চাঁদাবাজিকে স্থান দেয়া হবে না। দেবিদ্বারের অবস্থা এমন হয়েছে, পৈত্রিকভাবে অনেকেই ক্ষমতায় আসছে। দেবিদ্বারের যানজট নিরসনে রোড ডিভাইডার করার কাজ শুরু করা হচ্ছে এবং বাজারও স্থানান্তর করা হবে। কেউ যাতে সিন্ডিকেট করে বাজারে পণ্যের দাম বাড়াতে না পারে সেজন্য খুব শিগগিরই পৌর ব্যবসায়ী সমিতিকে ঢেলে সাজিয়ে নিবার্চনের মাধ্যমে নতুন ব্যবসায়ীবান্ধব কমিটি গঠন করা হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা, এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রবিউল ইসলাম, সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয়ক রাকিবুল ইসলাম হৃদয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি নাজমুল হাসান নাহিদ, মোহতাদির যারিফ সিক্ত, জহিরুল ইসলাম ও আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক মাহমুদুল হাসান জোবায়ের প্রমুখ।
এদিকে, বিকেলে ফ্যাসিবাদ পরবর্তী আগামী দেবিদ্বার নিয়ে জনগণের ভাবনা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দর সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। ওই সভায় বক্তব্য রাখেন বুয়েটের শিক্ষক ড. খোরশেদ আলম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেবিদ্বার উপজেলা শাখার আমীর অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর পারভেজ সরকার, জাতীয় গণ অধিকার পরিষদের কুমিল্লা জেলার যুগ্ম আহবায়ক মো. জাকির হোসেন, ভিপি ময়নাল হোসেন প্রমুখ।