ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের সশস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
নেতৃদ্বয় বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসলে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মহড়া দিতে থাকে। একপর্যায়ে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে নিরীহ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় তারা। আজ (সোমবার) দুপুরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকায় জড়ো হলে ছাত্রলীগ বহিরাগত সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে নারীসহ অসংখ্য শিক্ষার্থী আহত হয়। এর আগে সকালে ইডেন কলেজের ছাত্রীদেরকে রুমে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়।
এছাড়াও বিভিন্ন ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক রাফিকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। আমরা এই ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দেশ ছাত্রলীগকে ইজারা দেওয়া হয়নি যে, যখন-তখন দেশের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলে পড়বে। ছাত্রসমাজ দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাদের এই শ্রদ্ধাকে ছাত্রলীগ দুর্বলতা মনে করলে এর জন্য চরম মাশুল দিতে হবে। ছাত্রসমাজ আজ জেগে উঠেছে। তারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে জানে। যদি ছাত্রলীগ তাদের এসব গণবিরোধী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে ফিরে না আসে, তাহলে ছাত্রজনতা ঐক্যবদ্ধভাবে তাদেরকে উপযুক্ত জবাব দিতে বাধ্য হবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছি যে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের যেকোনো যৌক্তিক আন্দোলনে ছাত্রলীগ বরাবরই বিপক্ষ অবস্থান নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে আসছে। ২০১৮ সালে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলন ও ‘কোটা সংস্কার’ আন্দোলনে হেলমেট পরে হাতুড়ি দিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এছাড়াও ধর্ষণ, খুন, ভর্তি বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ঘুষ ও দুর্নীতিসহ এমন কোনো অপকর্ম নেই, যার সাথে ছাত্রলীগ জড়িত নেই। ধারাবাহিকভাবে তাদের এই অপকর্মের সামনে প্রশাসন সব সময় নীরব ভূমিকা পালন করে আসছে।
যৌথ বিবৃতিতে শিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। সেইসাথে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী এ সকল সন্ত্রাসীদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার জোর দাবি জানাচ্ছি।