আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে চাই আমরা আক্রান্ত, আক্রমণকারী নই। এখন বিবৃতি আসছে আক্রান্তদের বিরুদ্ধে। আক্রমণকারী আমরা নই।’
রোববার (২৮ জুলাই) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দুস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নৃশংসতা হানাদার বাহিনীকেও হার মানিয়েছে। তারা এখন স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়ে নতুন প্ল্যাটফর্ম করার কথা জানান দিচ্ছে। তাদের ঐক্য আগুনসন্ত্রাস, দেশ ও দেশের উন্নয়ন ধ্বংসের ঐক্য।
চলমান সহিংসতা নিয়ে বিদেশিদের বিবৃতি প্রসঙ্গে কাদের বলেন, বিদেশ থেকে অনেকেই বিবৃতি দিচ্ছেন। যেখানে ওয়ান ইলেভেনের কুশীলব ড. ইউনূসও যোগ দিয়েছেন। কারও প্ররোচনায় বিবৃতি না দিয়ে আপনারা বাংলাদেশে এসে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বিআরটির ধ্বংসলীলা দেখুন। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে চাই আমরা আক্রান্ত, আক্রমণকারী নই। এখন বিবৃতি আসছে আক্রান্তদের বিরুদ্ধে। আক্রমণকারী আমরা নই।
ড. ইউনূস আবারও সক্রিয় জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ড. ইউনূস সরকারবিরোধী হিসেবে মাঠে নেমেছেন। তিনি আবারও সক্রিয় হয়েছেন। আগে গোপনে করেছেন, এবার তিনিও এসেছেন।
এ সময় কোটা আন্দোলন ঘিরে দেশজুড়ে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে কারফিউ জারির প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে কাদের বলেন, তারেক রহমান গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে ১৯ জুলাই রাতে শ্রীলঙ্কার স্টাইলে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি দখল করার টার্গেট ছিল। যদি কারফিউ জারি না হতো এমন প্ল্যান তাদের ছিল।
তিনি বলেন, বিদেশ থেকে অনেকেই বিবৃতি দিচ্ছেন। অনেক সংস্থা, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও আছেন। কারা সমন্বয় করছেন আমরা জানি। তাদের বলব, কারও প্ররোচণায় বিবৃতি না দিয়ে এখানে এসে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বিআরটিএর ধ্বংসলীলা দেখুন। বিআরটিসির ৪৪টি গাড়ি পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে, তা দেখুন। সাংবাদিক বন্ধুরাও আক্রান্ত হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিবেকের টানে হাসপাতালে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনাদের মতো মায়াকান্না করতে নয়, বিবেক ও হৃদয়ের টানে শেখ হাসিনা হাসপাতালে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু মানুষের জন্য যা করতেন, তার কন্যাও সেই সহানুভূতি নিয়ে যাচ্ছেন।