ধর্মীয় কিংবা রাজনৈতিক কারণে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্রতি প্রতিশোধ কিংবা প্রতিহিংসাপরায়ণ না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান।
সোমবার (৫ আগস্ট) জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান তিনি।
বিবৃতিতে তারেক রহমান বলেন, প্রিয় দেশবাসী। আস-সালামু-আলাইকুম। বিনাভোটে ক্ষমতায় থাকার জন্য শেখ হাসিনা গত ১৫ বছর ধরে হাজারো মানুষকে গুম, খুন, অপহরণ করেছে। হামলা চালিয়ে, মিথ্যা মামলা দিয়ে লাখ লাখ মানুষকে ঘরবাড়ি ছাড়া করেছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় হাজার হাজার মানুষকে বছরের পর বছর ধরে কারাগারেই জীবনের সোনালি সময়গুলো কাটাতে বাধ্য করা হয়েছে। হাসিনার অত্যাচার, নির্যাতন-নিপীড়নে দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ ক্ষুব্ধ-বিক্ষুব্ধ। এ কারণেই গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা পালানোর পর নির্যাতিত-নিপীড়িতদের কারও কারও হয়তো আচরণে ক্ষোভের মারাত্মক বহিঃপ্রকাশ ঘটছে।
তিনি বলেন, প্রিয় দেশবাসী, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালানোর পর আমি তাৎক্ষণিকভাবে দেওয়া একটি বক্তব্যে/সবার কাছে আহ্বান জানিয়ে বলেছিলাম, “বিজয়ীর কাছে পরাজিতরা নিরাপদ থাকলে বিজয়ের আনন্দ মহিমান্বিত হয়। তবে আমি খবর পেয়েছি, দেশের কোথাও কোথাও কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। এ প্রসঙ্গে আমি আবারও আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাব, ধর্মীয় কিংবা রাজনৈতিক কারণে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্রতি প্রতিশোধ কিংবা প্রতিহিংসাপরায়ণ হবেন না। বিশেষ করে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী কোনোভাবেই যেন হেনস্তার শিকার না হয় সেটি নিশ্চিত করা আপনার/আমার/আমাদের সবার দায়িত্ব। কোনো ধর্মীয় উপাসনালয়ে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাবেন না।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা তার দলীয় এবং ব্যক্তিগত স্বার্থে রাষ্ট্র এবং সমাজে/মানুষে মানুষে ঘৃণা, হিংসা-বিভেদ ছড়িয়েছে। তবে আমার বক্তব্য স্পষ্ট, কাউকে সংখ্যালঘু হিসেবে বিবেচনা করার প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, বিশ্বাসী কিংবা অবিশ্বাসী, কেউ সংখ্যালঘু নয়। আমাদের সবার একটাই পরিচয় আমরা বাংলাদেশি। সুতরাং, ব্যক্তি হিসেবে কারও প্রতি কোনো ক্ষোভ থাকলে প্রয়োজনে আইনগত পদক্ষেপ নিন। কিন্তু আপনারা কেউ নিজ হাতে আইন তুলে নেবেন না। অন্যকে নিরাপদ রাখুন। নিজেও নিরাপদ থাকুন। নিজেদের মহত্ত্ব দিয়ে প্রমাণ করুন, আপনি আওয়ামী লীগ না আপনি মানুষ।