এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে আগামী ১৫ অক্টোবর। সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামী ১৫ অক্টোবর বেলা ১১টায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ৩০ জুন। ১৬ জুলাই পর্যন্ত পরীক্ষা ঠিকঠাকভাবে সম্পন্ন হয়। তবে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে ১৮ জুলাইয়ের পরীক্ষা এবং পরে ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত হয়। এরইমধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একপর্যায়ে গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনা সরকার।
এ পরিস্থিতিতে বাকি পরীক্ষাগুলোর তারিখ কয়েকবার পরিবর্তন করা হয়। সবশেষ নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয় ১১ আগস্ট। তবে পরীক্ষার্থীরা স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ২০ আগস্ট সচিবালয়ে এক সভায় ১১ সেপ্টেম্বর থেকে সংক্ষিপ্ত পরিসরে পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হলেও শিক্ষার্থীরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে বিভ শুরু করেন। পরে এসব পরীক্ষা বাতিল করতে বাধ্য হয় শিক্ষা প্রশাসন।
এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে বাতিল হওয়া এইচএসসি ও সমমানের ছয়টি পরীক্ষার ফল তৈরি হবে সাবজেক্ট ম্যাপিং পদ্ধতিতে। সেখানে জেএসসিতে প্রাপ্ত নম্বরের ২৫ শতাংশ ও এসএসসিতে প্রাপ্ত নম্বরের ৭৫ শতাংশ যোগ করে ওই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের নম্বর দেয়া হবে।
এর আগে, শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, যে ছয়টি পরীক্ষা বাতিল হয়েছে যেসব বিষয়ের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার সাবজেক্ট ম্যাপিং করা হবে। অর্থাৎ জেএসসি এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের গড় করে ফল তৈরি হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জেএসসিতে প্রাপ্ত নম্বরের ২৫ শতাংশ ও এসএসসিতে প্রাপ্ত নম্বরের ৭৫ শতাংশ যোগ করে ওই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের নম্বর দেওয়া হবে। যেমন- কোনো একটি বিষয়ে জেএসসিতে ১০০ নম্বর পেয়ে থাকলে সেখান থেকে ২৫ এবং একই বিষয়ে এসএসসিতে ১০০ নম্বর পেয়ে থাকলে ৭৫ নম্বর নেওয়া হবে। এ দুটি নম্বর যোগ করলে এইচএসসিতে ওই বিষয়ে শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর হবে ১০০।
চলতি বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি বোর্ড ও মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন।