১৫ বছরের রীতি ভেঙে ভিন্ন পদ্ধতিতে এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা এই ফল প্রকাশ করবেন। আর ফল জানতে চোখ রাখতে হবে মোবাইলে এসএমএস এবং ওয়েবসাইটে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেখা গেছে, আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশ করার আগে তা প্রধানমন্ত্রীর হাত তুলে দেয়া হতো। এরপর দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষামন্ত্রী ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করতেন।
এবার এমনটা হচ্ছে না। ফলাফল প্রকাশে থাকছে না কোনো আনুষ্ঠানিকতা। সরকারপ্রধান বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টাও ফলাফল প্রকাশের কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না। অর্থাৎ, সেই রীতি ভেঙে নতুন আঙ্গিকে ফল প্রকাশ করা হবে। শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা এই ফল প্রকাশ করবেন।
তাছাড়া ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম উপলক্ষে কলেজ ছুটি। এই কারণে ধারণা করা হচ্ছে, অনলাইনের মাধ্যমেই শিক্ষার্থী/অভিভাবকরা ফলাফল জানতে চেষ্টা করবেন।
এদিকে, শিক্ষা বোর্ড থেকেও অনলাইনে, এসএমএসে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কীভাবে ফলাফল পাওয়া যাবে, তা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উল্লিখিত যে কোনো পদ্ধতিতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের Result sheet download করা যাবে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট www.dhakaeducationboard.gov.bd, www.educationboardresults.gov.bd ও www.eduboardresults.gov.bd-এ Result কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের EIIN এন্ট্রি করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক Result sheet download করা যাবে এবং রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের মাধ্যমে Result sheet download করতে পারবেন।
Android Phone-এ বোর্ডের অ্যাপ থেকেও ফল পাওয়া যাবে। এ ছাড়া পরীক্ষার্থীরা এসএমএসের মাধ্যমে প্রি-রেজিস্ট্রেশন করে ফল জানতে পারবেন।
প্রি-রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম (ফল প্রকাশের পূর্বে)
যে কোনো অপারেটরের মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে HSC<>Board Name (First 3 Letter) <> Roll <> Year টাইপ করে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। যেমন: বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের জন্য HSC <> Bar <> Roll < 2024 Send to 16222। ফলাফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে প্রি-রেজিস্ট্রেশনকৃত পরীক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বরে তাদের ফল পৌঁছে যাবে। এ বছর গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। প্রথম দফায় প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরপরই স্থগিত পরীক্ষা না নিতে আন্দোলনে নামেন পরীক্ষার্থীদের অনেকে। তাদের দাবি ছিল, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরীক্ষা বন্ধ থাকার বিষয়টি তাদের মানসিক চাপে ফেলেছে। তাই অবশিষ্ট পরীক্ষাগুলো বাতিল করতে হবে। একপর্যায়ে আন্দোলনের মুখে স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করা হয়।