বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) বেশ কয়েকজন শিক্ষক দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে না পারায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন।
তারা নিজেদের লজ্জিত, কাপুরুষ উল্লেখ করে ক্ষমা চেয়েছেন। শিক্ষকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পোস্টে আক্ষেপ প্রকাশ করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। একই সঙ্গে এসব হামলা ও মারধরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. গোলজার হোসেন লিখেছেন,
আমি যখন তোমাদের শ্রেণিকক্ষে ঢুকবো, তোমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আমাকে থুতু দিয়ে ধিক্কার জানিও। কারণ আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক, তোমাদের এ দিনে তোমাদের পাশে দাঁড়াতে পারিনি।
বাকৃবির শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান সরকার লিখেছেন,
একজন শিক্ষক হিসেবে আমি লজ্জিত। তোমাদের পাশে থাকার মত ক্ষমতা আমার নেই। তোমরা ক্ষমা করে দিও।
পশুপুষ্টি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শফিকুর রহমান শিশির লিখেছেন,
এখন যদি কিছু না বলি তাহলে নিজের সঙ্গে আর কোনো দিন চোখ তুলে তাকাতেও পারব না। সাধারণ ছাত্রদের ওপর যারা অন্যায়-অত্যাচার করছেন, তাদের মানসিক যন্ত্রণার কারণ হচ্ছেন আপনারা। আমি ধিক্কার জানাই। হে আমার প্রাণের প্রিয় ছাত্রছাত্রী, যখন তোমাদের পাশে থাকার প্রয়োজন ছিল, তখন আমি কাপুরুষের মত চুপ করে ছিলাম। আমি সর্বোচ্চ ধিক্কার জানাই আমার প্রতি। আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন এবং তোমাদের সদা সাহায্য করুন অন্যায় ও জুলুমকে প্রতিহত করতে।
কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. পারভেজ আনোয়ার লিখেছেন,
শিক্ষক হিসেবে আমি সম্পূর্ণ ব্যর্থ, মানুষ হিসেবে স্বার্থপর আর ব্যক্তি হিসেবে কাপুরুষ। আমি আসলে একজন উচ্চশিক্ষিত অমানুষ।
ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান শিকদার লিখেছেন,
আমি লজ্জিত! ব্যর্থ শিক্ষক আমি! ব্যর্থ এ জনম আমার।
এনাটমি অ্যান্ড হিস্টোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাজমুল হাসান সিদ্দিকী লিখেছেন,
শিক্ষার্থীদের ঝরছে রক্ত, আমি লজ্জিত বাকরুদ্ধ।