বৃষ্টি উপেক্ষা করেই চট্টগ্রামে রাস্তায় নেমেছেন আন্দোলনকারীরা। এসময় বৈষম্যবিরোধী ‘ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র-জনতার গণমিছিলটি’ ওয়াসা এলাকায় পৌঁছলে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনের বাধার মুখে পড়ে। স্লোগান-পাল্টাস্লোগানের এক পর্যায়ে ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের সাঁজোয়া যানে ঢিল ছোড়ার ঘটনা ঘটে, ভাঙচুর করা হয় পুলিশ বক্স।
শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে জুমার নামাজের পর নগরের আন্দরকিল্লা জুমা মসজিদ থেকে ‘প্রার্থনা ও গণ মিছিলের’ কর্মসূচি হিসেবে শুরুর দিকে অনেকটা শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হয়। পরে মিছিলটি নগরের ব্যস্ততম এলাকা নিউমার্কেট এলাকায় পৌঁছলে বৃষ্টি উপেক্ষা করে সেখানে প্রায় ১৫ মিনিট অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিলটি টাইগারপাস গিয়ে সড়ক অবরোধ করে।
সবশেষ টাইগারপাস থেকে জিইসি অভিমুখে যাওয়ার পথে ওয়াসা এলাকায় অবস্থানরত আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়। পরে সে বাধা ডিঙ্গিয়ে জিইসি অভিমুখে চলে যায় আন্দোলনকারীদের মিছিলটি। এ সময় ওয়াসা এলাকায় পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ওয়াসা মোড় এলাকায় জামিয়াতুল ফালাহ মসজিদে জুমার নামাজের পর থেকে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের একটি অংশ। মূলত নগর আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাদের নির্দেশনা অনুযায়ী সেখানে তারা জড়ো হয়েছিলেন। জুমার নামাজ শেষে সেখানে ‘রাজপথ ছাড়ি নাই, শেখ হাসিনার ভয় নাই’ স্লোগানও দিতে দেখা গেছে।
এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের মিছিলটি ওয়াসা এলাকায় পৌঁছলে দুই পক্ষের বাকবিতণ্ডার পর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে আন্দোলকারীরা ধাওয়া দিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের একটি অংশ ছত্রভঙ্গ হয়ে চলে যায়।
তাছাড়া নগরের কাতালগঞ্জ, গণিবেকারি, চকবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় জুমার নামাজ শেষে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সড়কে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
তাছাড়া শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে ‘নারী সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশের নির্বিচার হত্যা, হামলা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ও সন্তান হত্যার বিচার দাবিতে’ এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।