গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় মোটরসাইকেল ও সিএনজির মুখোসুখি সংঘর্ষে আহত ছাত্রলীগ নেতা সামিউল ইসলাম সামু মারা গেছেন। শুক্রবার (২ আগস্ট) সকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এর আগে গত বুধবার রাতে রংপুরের কাউনিয়া এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সামিউল। নিহত সামিউল ইসলাম সামু সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাবেক ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ছিলেন। সামিউলের বাড়ি সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার বাইবাস এলাকার। তিনি ওই এলাকার রেজাউল করিম লাল মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার বিকেলে সামিউল ইসলাম ও তার দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে লালমনিরহাট জেলায় যান। সেখানে প্রয়োজনীয় কাজ শেষে মোটরসাইকেল যোগে রাতেই নিজ উপজেলা সুন্দরগঞ্জ ফিরছিলেন। পথে কাউনিয়া তিস্তা ব্রিজ এলাকায় এলে একটি সিএনজির সঙ্গে মুখোমুখি সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে সামুসহ অন্তত ৪ জন আহত হন।
পরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সামিউল ইসলামের অবস্থার অবনতি হলে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকার একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শুক্রবার সকালে মারা যান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মাহবুব আলম কালবেলাকে জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় সামিউল ইসলাম সামু আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন।
এদিকে, সাবেক ছাত্রনেতার মৃত্যুর সংবাদে তার নিজ এলাকায় শোকের ছায়া বিরাজ করছে। সামুর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন।