বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। যদি ইসলামী দলগুলো কিংবা ভিন্ন দলগুলো নির্বাচনে সহযোগিতা চান তাহলে জামায়াতে ইসলামী তাদেরকেও সহযোগিতা করবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌর শহরে আয়োজিত বিয়ানীবাজারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিগত সরকার দেশকে কেবল পেছনের দিকে নিয়ে গেছে। সর্বক্ষেত্রে দলীয়করণ করে দেশে সহিংস ও প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু করেছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনের পর দেশের সাধারণ মানুষ এক নতুন বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে।
তিনি আরও বলেন, বিয়ানীবাজারের মতো সীমান্তের একটি জনপদ থেকে বৃহৎ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্বকালেও রাজনীতির অপব্যবহার করিনি। আগামীতেও রাজনীতিকে ব্যবহার করে কোনো অপকর্ম করা কিংবা টাকাপয়সা বানানোর খায়েস আমার নেই।
সেলিম উদ্দিন বলেন, বিগত সরকারের সময়ে বিচারের নামে প্রহসন হয়েছে। কোরআনের পাখি আল্লামা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীকে মিথ্যা অভিযোগে সাজা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে পরিকল্পিতভাবে সরকারের দোসর চিকিৎসকরা অপচিকিৎসা দিয়ে তাকে হত্যা করেছেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মাওলানা সাঈদীকে হত্যার বিচার দাবি করছে।
আগামী নির্বাচনে সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ) আসনে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা পোষণ করে তিনি বিজয়ী হলে বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জকে একটি আধুনিক-আদর্শ জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি দেশের বিগত দিনের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি ও আগামীর সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের বিষয়েও বিস্তর আলোকপাত করেন।
সভায় মফস্বল সাংবাদিকদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা-সম্ভাবনা নিয়েও বক্তব্য রাখেন। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থীর পক্ষে সঠিক তথ্য তুলে ধরা ও ইতিবাচক বিয়ানীবাজার উপস্থাপন করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।