উদ্ভট অঙ্গভঙ্গি করে বেশ আলোচনায় রয়েছেন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম রিপাবলিক বাংলার এক সাংবাদিক। একবার এখানে তো আরেকবার ওখানে। ছুটছেন স্টেজের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। এমনকি কথা বলছেন হাত নেড়ে নেড়ে। জোর গলায় নিজের মতামত অন্যের ঘাড়ে দিতে চাইছেন চাপিয়ে। নিজের এমন উদ্ভট অঙ্গভঙ্গির জন্য আলোচনায় রয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে ওপার বাংলার এই সাংবাদিক এভাবে বিদ্বেষ ছড়িয়ে যাচ্ছেন। জানা গেছে, রিপাবলিক বাংলার ওই সাংবাদিকের নাম ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ। বাংলাদেশ নিয়ে বিতর্কিত বিভিন্ন মন্তব্য করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন তিনি।
স্ক্রিনের সামনের বেশ নাটকীয় ভঙ্গিতে উপস্থাপনা করেন ময়ূখ। ছড়ান মিথ্যা আর প্রোপাগান্ডা। বোনেন সাম্প্রদায়িকতার বীজও। বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ঘিরে করেছেন বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্য। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ নিয়েও অশোভন মন্তব্য করেছেন তিনি। এমনকি ভারতে ইলিশ রপ্তানি নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে উল্টাপাল্টা কথা বলে আলোচনার জন্ম দেন ময়ূখ।
বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলন নিয়ে শুরু থেকে বিতর্কিত মন্তব্য করে গেছেন। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশে ছাত্র জনতার আন্দোলেনে পাকিস্তানের মদদ রয়েছে। এমনকি ওই আন্দোলনকে মৌলবাদের সঙ্গেও তুলনা করেন ময়ূখ। আন্দোলন পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের মন্তব্য সরকার নিয়েও বাজে মন্তব্য করতে দেখা যায় তাকে। বিভিন্ন মিথ্যা ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টা করে যাচ্ছেন ময়ূখ।
অবশ্য ভিউ ব্যবসার জন্য রিপাবলিক টিভির এমন আচরণ নতুন কিছু নয়। টিভিটির এডিটর ইন চিফ অর্নব গোস্বামী নিজেও সাম্প্রদায়িকতা ছড়িয়ে ভিউয়ের ব্যবসা করেন। ময়ূখ শুধু বাংলাদেশ নিয়েই নয়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিরও কড়া সমালোচক। আলোচিত ময়ূখ বর্তমানে রিপাবলিক বাংলায় সিনিয়র এডিটর ও হেড অব ইনপুট হিসেবে কর্মরত। এর আগে তিনি এবিপি আনন্দ, টাইমস নাউ ও নিউজ বাংলা এইটটিনে কাজ করেছেন।
মিথ্যার বেসাতি খুলে বসা ময়ূখকে নিয়েও বিতর্ক কম নয়। রিপাবলিক বাংলায় জবাব চায় বাংলা প্রোগ্রামের হোস্ট ময়ুখ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বলে দাবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গে একজন লেখক মানিক ফকির। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি মাক্সবাদীর একজন নেতা ময়ূখকে বিজেপির আইটি সেলের নেতা বলেও অভিযোগ করেন। যদিও এত শত অভিযোগ নিয়েও চোখে চোখে প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে যাচ্ছেন ময়ূখ।