ইসরাইলে হামলার পর ইরানে, বিশেষ করে দেশটির পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরাইলের ‘সম্ভাব্য পাল্টা হামলার’ আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই পশ্চিমাদের মধ্যপ্রাচ্য ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান বুধবার (২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হিজবুল্লাহর নেতৃত্বের ওপর ইসরাইলের হামলার জবাবে তেল আবিবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নির্দেশ দেয়ার পর বুধবার প্রথমবার জনসমক্ষে আসেন আয়াতুল্লাহ খামেনি। এদিন তিনি বিজ্ঞানী এবং শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এসময় তিনি বলেন,
গত শুক্রবার হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহর হত্যাকাণ্ডের জন্য ইরান এখনও শোকস্তব্ধ। কিন্তু শোকে থাকা মানে হতাশাগ্রস্ত হওয়া এবং হাত গুটিয়ে বসে থাকা নয়।
খামেনির উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভি বলেছে,
আমাদের অঞ্চলে সমস্যাগুলোর মূল কারণ, শান্তির পক্ষের বলে দাবি করা লোকদের উপস্থিতি। যারা মূলত দ্বন্দ্ব, যুদ্ধ, উদ্বেগ এবং শত্রুতার দিকে পরিচালিত করে। এরা আর কেউ নয়, যুক্তরাষ্ট্র এবং কিছু ইউরোপীয় দেশ।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন,
যদি তারা (যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমারা) এই অঞ্চল থেকে চলে যায়, নিঃসন্দেহে সংঘাত, এই যুদ্ধ, এই সংঘর্ষ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। তারা না থাকলে এই অঞ্চলের দেশগুলো নিজেদের শাসন করতে, তাদের অঞ্চলকে শাসন করতে এবং শান্তি, আশীর্বাদ এবং সমৃদ্ধিতে একসঙ্গে বাঁচতে সক্ষম হবে।
এদিন, গাজা উপত্যকা এবং লেবানন সম্পর্কিত সমস্যাগুলো অদূর ভবিষ্যতে সমাধান করার প্রতিশ্রুতিও দেন আয়াতুল্লাহ খামেনি।
এর আগে, ‘বৈধ আত্মরক্ষার অধিকারের’ ওপর ভিত্তি করে ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে বলে জানান ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। ইসরাইলের আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় হামলা চালানোর কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
মঙ্গলবার এক্স-এ পোস্ট করা এক বিবৃতিতে পেজেশকিয়ান বলেন, এই পদক্ষেপ (ক্ষেপণাস্ত্র হামলা) ‘ইরানের স্বার্থ ও নাগরিকদের প্রতিরক্ষার জন্য’।
বিবৃতিতে বলা হয়,
নেতানিয়াহুর জানা উচিৎ যে, ইরান যুদ্ধবাজ নয়, তবে যেকোনো হুমকির বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াবে। এটি (মঙ্গলবারের হামলা) আমাদের ক্ষমতার একটি ছোট অংশ মাত্র। ইরানের সঙ্গে সংঘাতে জড়াবেন না।
তীব্র উত্তেজনার মধ্যেই মঙ্গলবার রাতে ইসরাইলে বহু ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান।