নাটোর সদর উপজেলার আমিরগঞ্জ এলাকার গ্রামের ভেষজ পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ (গুড়া) করার মেশিনের একমাসের ভুতুড়ে এক কোটি ৫২ লাখ ৫১ হাজার ৩১১ টাকার বিল সংশোধন করছে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১।
বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেল নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে ১৬ হাজার ৬২০ টাকার সংশোধনী বিল দেয়া হয়েছে ভুক্তভোগী জালাল উদ্দিনকে।
এ ঘটনায় বিলিং সহকারী জেসমিন আক্তার মেরিনাকে কারণ দর্শনোর নোটিশ দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (কারিগরি) মোহাম্মাদ আবু নাসের।
ভুক্তভোগী জালাল উদ্দিন জানান, ২০১৮ সালে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সংযোগ নিয়ে হাস্কিং চালকল স্থাপন করেন। চালকল না চলার জন্য ২ বছর ধরে ঔষধী গ্রামের ভেষজ চাষিদের উৎপাদিত ভেষজ পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ (গুড়া) মেশিনে গাছামো ঔষধ গুড়া করতেন। প্রতিমাসে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে বিদ্যুৎ বিল আসলেও এক মাসে বিল দেয়া হয় এক কোটি ৫২ লাখ ৫১ হাজার ৩১১ টাকা।
জালাল উদ্দিন আরও জানান, ১৫ সেপ্টেম্বর তার প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিলটি পাঠানো হয়। তবে তিনি ব্যবসার কাজে ঢাকা ছিলেন। ঢাকা থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর নাটোরে ফিরেন। ২৯ সেপ্টেম্বর বিল প্রদানের শেষ দিন থাকায় তিনি বিল হাতে নিয়ে অবাক হন। ওই দিন তিনি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকা জুড়ে সৃস্টি হয় চাঞ্চল্য। পরে বুধবার বিকেলে সংশোধনী বিল তিনি হাতে পান।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (কারিগরি) মোহাম্মাদ আবু নাসের বলেন, এটা বড় ধরণের একটি ভুল। বিলটি সংশোধন করে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এই ঘটনায় বিলিং সহকারী জেসমিন আক্তার মেরিনাকে কারণ দর্শনোর নোটিশ করা হয়েছে। নোটিশের জবাব পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।