বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় প্রায় আড়াই কোটি টাকায় যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করেছেন। মার্কিন নীতিনির্ধারকদের প্রভাবিত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ওয়াশিংটন ডিসির বিশিষ্ট লবিং ফার্ম ‘স্ট্রেক গ্লোবাল ডিপ্লোম্যাসিকে’ নিয়োগ করেছেন তিনি।
বাংলাদেশের নানা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগের আলোচনায় প্রায়ই সরগরম হয় এদেশের রাজনৈতির মাঠ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সময় দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা প্রায়ই অভিযোগ করতেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে মার্কিন প্রভাব বিস্তারে লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াত। এবার নেজেরাই হাঁটলেন সে পথে।
আন্দোলন-বিক্ষোভের মুখে গেলো ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। পরে গ্রেফতার হন আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী ও এমপি। পলাতক আছেন দলটির আরও অনেক নেতা। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করেছে ‘ওয়াজেদ ইনকরপোরেশন’।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে জয়ের প্রতিষ্ঠানটি এ চুক্তির আওতায় আওয়ামী লীগের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাহী ও বিচার বিভাগের কাছে তুলে ধরবে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি। এতে খরচ হবে দুই লাখ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা আড়াই কোটি টাকার মতো।
গেলো ১২ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে স্ট্রাইক গ্লোবাল ডিপ্লোম্যাসির চেয়ারম্যান রবার্ট স্ট্রেকের সঙ্গে ৬ মাস মেয়াদি একটি চুক্তি সই করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। এর তথ্য এরই মধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে মার্কিন বিচার বিভাগের ওয়েবসাইটেও।
২০০৪ সালে ‘অ্যালকাটেল অ্যান্ড ফা’ নামের এক লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে প্রথম চুক্তি করেন জয়। আর ২০১৯ সালে ব্লুস্টার স্ট্যাটেজিসসহ একাধিক লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করে বিএনপি।