এক ছাত্রীকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় ফের উত্তাপ্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৯ বছর বয়সী এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তবে রাজ্যের বিরোধীদল বিজেপি ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলায় এক ছাত্রী কোচিংয়ে ক্লাস করতে বাড়ি থেকে বের হন। সেখান থেকে আর বাড়ি না ফেরায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পরে শনিবার (০৫ অক্টোবর) ভোর সাড়ে তিনটার দিকে স্থানীয় একটি মাঠ থেকে ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তখন মরদেহে একাধিক আঘাত চিহ্ন দেখা যায়।
এ ঘটনার পর ক্ষোভ ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এক পর্যায়ে পুলিশ ক্যাম্প ভাংচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষুদ্ধ জনতা। পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করে পুলিশ। শনিবার বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি জানান, আটক থাকা যুবক ওই ছাত্রীকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন। তবে ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেননি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়ার আগেই বিজেপি দাবি করেছে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ধর্ষণের অভিযোগ তুলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “দুর্গাপূজা উদযাপনের কয়েক দিন বাকি এবং রাজ্যে নিরীহ মেয়েদের সঙ্গে এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এটি দেখায় যে প্রশাসনের ওপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই, যা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক হয়ে উঠেছে। এই অপরাধগুলি বাংলায় বারবার ঘটছে… মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তার পদে থাকার কোনও আইনি বা নৈতিক অধিকার নেই।
পুলিশ অবশ্য বলেছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়।