খুনি সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম একটি অর্জন এবং প্রেক্ষাপট বিবেচনায় তা একটি যৌক্তিক ও সাহসী সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখার সভাপতি আবু সাদিক কায়েম।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমন মন্তব্য করেন।
সাদিক কায়েম বলেন, আমরা দেখে আসছি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী রেজিমে ছাত্রলীগ কী রকম ভয়ানক রূপ ধারণ করেছিল। খুন, ধর্ষণ, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ক্যাম্পাস দখল, ছাত্র-শিক্ষক নির্যাতনসহ অপরাধের এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে তাদের বিচরণ ছিল না।
ছাত্রলীগের হাতে নির্মমভাবে শহীদ হওয়াদের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে শহীদ নোমানী, আবুবকর, বিশ্বজিৎ, আবরারকে কি ভয়ানকভাবে শহীদ করেছে ছাত্রলীগ। সর্বশেষ চব্বিশের বিপ্লবে শতসহস্র ভাই-বোনকে পৈশাচিকভাবে রক্তাক্ত করেছে, গণহত্যা চালিয়েছে যা বাংলাদেশের ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম কালো অধ্যায়। জুলাইয়ে শহীদ হওয়া নাসিমা, তরুয়া, ওয়াসীম, আবু সাঈদ, আলী রায়হান, মুগ্ধ, শান্তরা আমাদের চোখের সামনেই হারিয়ে গেল অন্তিম ঠিকানায়।
ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ দেশের জন আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন উল্লেখ করে আবু সাদিক কায়েম বলেন, তাদের দলীয়ভাবে এহেন পাশবিক হত্যাযজ্ঞ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না বরং তার ধারাবাহিকতার মাত্রা বছরের পর বছর আরও বর্বরোচিত হচ্ছিল। এখনো তারা বিভিন্নভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে পাঁয়তারা করছে। গুপ্ত হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে অনেক জায়গায়। ছাত্রলীগ কেন নিষিদ্ধ করা হলো তার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের জরুরতও দেখি না। পুরো দেশের আকাঙ্ক্ষারই এখানে বাস্তবায়ন ঘটেছে।
সব অপরাধী ও সমর্থনকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, শুধু নিষিদ্ধ নয়, যারা খুন, ধর্ষণ, গণহত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত ছিল ও সমর্থন দিয়ে গেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। পরে যেন দেশকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে না পারে সেদিকে ছাত্রজনতা ও সরকারের সচেতন দৃষ্টিই জাতির একান্ত প্রত্যাশা।