নানা জল্পনা শেষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকররমে নিয়োগ পেয়েছেন নতুন খতিব দেশবরেণ্য ইসলামি আইন বিশেষজ্ঞ ও হাদিস বিশারদ আল্লামা মুফতি আবদুল মালেক।
তিনি আজ শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বায়তুল মোকররমে জুমার নামাজ পড়াবেন। নতুন খতিবের একান্ত সহযোগী মাওলানা মাহমুদ বিন ইমরান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মুফতি আবদুল মালেকের জন্ম ২৯ আগস্ট, ১৯৬৯ সালে কুমিল্লায়। তার পিতা শামসুল হক ছিলেন একজন আলেম। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার খেড়িহর কওমি মাদ্রাসা দিয়ে।
পরে তিনি পাকিস্তানের করাচি বিননূরী টাউন জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া থেকে তাকমিল (মাস্টার্স) সমাপ্ত করেন। তারপর সেখানেই শায়খ আব্দুর রশিদ নোমানির তত্ত্বাবধানে তিন বছর হাদিস শাস্ত্রে তাখাসসুস (উচ্চতর গবেষণা) ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর দুবছর দারুল উলুম করাচিতে বর্তমান বিশ্বের ইসলামিক স্কলার মুফতি তকি ওসমানীর তত্ত্বাবধানে ফিকাহ শাস্ত্রে তাখাসসুস (উচ্চতর গবেষণা) ডিগ্রি অর্জন করেন।
বায়তুল মোকাররম মসজিদে নতুন খতিব নিযুক্ত
তাখাসসুস শেষে সৌদি আরবের রিয়াদে শায়খ আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহর তত্ত্বাবধানে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত প্রায় আড়াই বছর হাদিসশাস্ত্রসহ বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণার কাজ করেন।
১৯৯৬ সালে ঢাকায় উচ্চতর ইসলামি শিক্ষা ও দাওয়া প্রতিষ্ঠান ‘মারকাজুদ দাওয়াহ আল-ইসলামিয়া’ প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে তিনি এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাসচিব এবং উলুমুল হাদিস অনুষদের প্রধান। ২০০৫ সাল থেকে মারকাজুদ দাওয়াহ আল-ইসলামিয়ার মুখপত্র মাসিক আল-কাউসারের প্রকাশনা শুরু হয়। সে থেকে এখন পর্যন্ত জনপ্রিয় এ ম্যাগাজিনের তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। ২০১২ সালে গঠিত বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশনেরও তিনি একজন সদস্য।
তিনি সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনা, পাকিস্তান, ভারত ও তুরস্ক সফর করেছেন এবং বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন। তিনি এরই মধ্যে বাংলা, আরবি, ইংরেজি ও উর্দু ভাষায় মোট ১৬টি গ্রন্থ রচনা করেছেন।