ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমিয়েছে সরকার। দেশে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটারে ৫০ পয়সা কমানো হয়েছে। তবে পেট্রোল ও অকটেনের দাম অপরিবর্তিত আছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ডিজেল ও কেরোসিন প্রতি লিটারের খুচরা মূল্য ১০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে দাম ছিল ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা।
পেট্রোলের দাম প্রতি লিটারে ১২৫ টাকা এবং অকটেনের দাম ১২১ টাকা অপরিবর্তিত আছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ১ নভেম্বর থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ করা ছাড়াও আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি মাসে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। অনেকটাই একই প্রক্রিয়ায় প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ করছে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বছরে জ্বালানি তেলের চাহিদা প্রায় ৭৫ লাখ টন। মোট চাহিদার প্রায় ৭৫ শতাংশই ডিজেল ব্যবহার হয়। বাকি ২৫ শতাংশ চাহিদা পূরণ হয় পেট্রল, অকটেন, কেরোসিন, জেট ফুয়েল, ফার্নেস অয়েলসহ বিভিন্ন জ্বালানি তেলের মাধ্যমে।
ডিজেল সাধারণত কৃষি সেচে, পরিবহন ও জেনারেটরে ব্যবহার করা হয়। জ্বালানি তেলের মধ্যে উড়োজাহাজে ব্যবহূত জেট ফুয়েল ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েলের দাম নিয়মিত সমন্বয় করে বিপিসি। আর ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের দাম নির্ধারণ করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। প্রতিবেশী দেশ ভারত ছাড়াও উন্নত দেশগুলোতে প্রতি মাসেই জ্বালানির দাম নির্ধারণ করা হয়।