জাতীয় পার্টি ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে দলটি দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।
এ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাতে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। তাতে তিনি লিখেছেন, ‘যেই পথে গেছে আপা, সেই পথে যাবে জাপা। নোট: কেয়ামতের সময়ের তওবা কবুল হয় না।’
একই ধরনের পোস্ট দিয়েছেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলমও।
সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্তা ধ্বংসের জন্য আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জাতীয় পার্টির প্রতিও অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীরা। দলটির নীতিনির্ধারণ, ভারতঘেষা রাজনীতি এবং ভোটবিহীন সরকার ব্যবস্থা চালু রাখতে জাতীয় পার্টি সব সময় আওয়ামী লীগকে সহায়তা করেছে বলে অভিযোগ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা।
সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। জানা যায়, ওইদিন সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যে ‘পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসর জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক অপতৎপরতা ও দেশবিরোধী চক্রান্তের’ প্রতিবাদে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র শ্রমিক জনতা’ ব্যানারে মশাল মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই বলে জানান বক্তারা। তারা বলেন, রাজনৈতিক অতৎপরতা ও দেশবিরোধী চক্রান্ত এই দেশে হবে না। পরে তারা জাতীয় পার্টির কার্যালয় ঘেরাও করতে বিজয়নগরে যান। সেখানে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ছাত্র-জনতার। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন।
এ বিষয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন রশিদ বলেন, আমাদের মিছিলটি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যাওয়ার সাথে সাথে আক্রমণ করা হয়। আমাদের প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন।