আবারো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে ‘সাদা বাড়ি’ ছাড়তে হয়েছিল তাকে। চার বছর পর ফের সেই বাড়িতেই প্রবেশাধিকার পেয়ে গেলেন ট্রাম্প। বিশ্বের সর্বশক্তিমান দেশের প্রেসিডেন্ট হিসাবে কত বেতন পাবেন তিনি? ভোগ করবেন কী কী সুযোগ-সুবিধা?
আমেরিকার সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টই দেশের সর্বময় কর্তা। ফলে তার বেতনও অন্যদের তুলনায় অনেকটাই বেশি। যেখানে আমেরিকার সাধারণ নাগরিকদের গড় বার্ষিক বেতন চার লাখ ডলার।
শুধু বেতন নয়, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট খরচের জন্য আলাদা ভাতাও পান। এ ছাড়াও বিনোদন এবং ভ্রমণের জন্য আলাদা আলাদা অর্থব্যয় করা হয় তার জন্য। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প বার্ষিক অন্যান্য খরচ বাবদ পাবেন ৫০ হাজার ডলার (কর দিতে হবে না)। বিনোদন এবং ভ্রমণের জন্য খরচ বাবদ পাবেন যথাক্রমে এক লাখ ডলার এবং ১৯ হাজার ডলার।
এখানেই শেষ নয়, বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর হোয়াইট হাউসকে নিজের পছন্দ মতো সাজানোর জন্য প্রায় এক কোটি টাকা পাবেন। তবে বারাক ওবামার মতো অনেকেই সেই অর্থ ব্যয় করেননি। তার পরিবর্তে নিজের তহবিল থেকে খরচ করে হোয়াইট হাউস সাজিয়েছিলেন।
এ ছাড়াও, যাতায়াতের জন্য পাবেন বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল গাড়ি। লিমুজিন, মেরিন ওয়ান, এয়ার ফোর্স ওয়ান, দ্য বিস্টের মতো গাড়ি ও বিমানের ব্যবস্থা থাকবে। নিরাপত্তার দিক থেকে যা বিশ্বে শ্রেষ্ঠ বলেই গণ্য হয়। বার্ষিক পেনশন হিসাবে বছরে দেড় কোটি টাকার বেশি পেয়ে থাকেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। পাশাপাশি, আজীবন বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবাও মিলবে।
অবসর গ্রহণের পর মার্কিন প্রেসিডেন্টরা বছরে দুই লাখ ডলার করে পেয়ে থাকেন। তবে অবসরের পর তারা সরকারি ভাতা হিসেবে যা আয় করেন, তার চেয়ে বেশি পান স্মৃতিকথা কিংবা আত্মজীবনী লেখা বই বিক্রি থেকে, বক্তৃতা করে, মিডিয়ার সাথে চুক্তি করে এবং আরো অনেক লাভজনক উদ্যোগ থেকে।
ইতিহাসের পাতায়
মার্কিন প্রেসিডেন্টের বেতন বৃদ্ধির ধারা প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন বছরে মাত্র ২৫ হাজার ডলার বেতন পেতেন, যা তখনকার জন্য অনেক বেশি ধরা হয়। তবে দেশের ক্ষমতা ও সম্পদ বৃদ্ধির সাথে সাথে এই বেতনও সময়ে সময়ে বৃদ্ধি পায়। এখানে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সময়ের বেতনের পরিবর্তন :
১৭৮৯ : $২৫,০০০
১৮৭৩ : $৫০,০০০
১৯০৯ : $৭৫,০০০
১৯৪৯ : $১০০,০০০
১৯৬৯ : $২০০,০০০
২০০১ : $৪০০,০০০ (শেষ বৃদ্ধি, জর্জ ডব্লিউ বুশের প্রেসিডেন্সিতে)
যদিও গত ২৩ বছরে বেতন বাড়েনি, তবে এটি অনেক নেতার তুলনায় এখনো বেশি।