ছেলে-মেয়ের মোবাইল দেখাকে কেন্দ্র করে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে স্বামী। এ সময় গুরুতর আহত করা হয় ছেলে-মেয়েকেও। ঘটনা ঘটেছে দিনাজপুরে নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের হেয়াতপুর (চিনির চড়া) গ্রামে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী মো. শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (২১ এপ্রিল) গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মোমিনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, শনিবার (২০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলার ইউনিয়নের হেয়াতপুর (চিনির চড়া) গ্রামে মর্জিনা বেগম (৩০) নামের এক নারীর হত্যার ঘটনা ঘটে। এ সময় নিহতের ছেলে আল আমিন (১২) ও ৫ বছরের মেয়ে আফরিন আক্তার গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে পুলিশের ক্রাইম সিন ইউনিটের সহযোগিতায় নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় দিনাজপুর আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাওহীদুল ইসলাম বলেন, ‘নিহত মর্জিনার মা গোলাপি বেগম বাদী হয়ে গত রাতেই অভিযোগ দায়ের করলে জামাই শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।’
ওসি আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের যতটুকু তথ্য পেয়েছি তা হল- ছেলে মেয়ের মোবাইলে গেম খেলাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল। শনিবার রাতে নিহত মর্জিনা রান্না করছিল। ছেলে মেয়ে দুজন ঘরে মোবাইলে দেখছিল। এ সময় হঠাৎ ছেলেমেয়েরা চিল্লাচিল্লি করলে মা ছেলেমেয়েকে থামতে বলে। একপর্যায়ে মা তাদের থাপ্পড় দিলে বাবা উত্তেজিত হয়। এবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তর্ক বিতর্কের একপর্যায়ে মর্জিনা বেগমকে (৩০) খাটের চৌকাঠ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে স্বামী শহিদুল। তাছাড়া গুরুতর আহত করা হয় ছেলে মেয়েকে।’
এ হত্যাকাণ্ডের আরও কোনো বিষয় আছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান ওসি তাওহীদুল ইসলাম।