দল পুনর্গঠনে জাতীয় কাউন্সিলে যাচ্ছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব পদে শোনা যাচ্ছে ড. মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ কয়েকজনের নাম। বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের দাবি, কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ পাঁচ বছর আগে শেষ হলেও দমন-পীড়নের কারণে ঠিক সময়ে কাউন্সিল করা যায়নি। রাজনৈতিক সহাবস্থান নিশ্চিত হলেই তা করতে চান তারা।
১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। সবশেষ জাতীয় কাউন্সিল হয় ২০১৬ সালের মার্চ মাসে। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়েই ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে দলটির রাজনৈতিক সকল কার্যক্রম।
২০১৬ সালের কাউন্সিলে ভারমুক্ত হয়ে দলের মহাসচিব হন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ১৪-১৮ সালের পর ২০২৪-এর নির্বাচনেও বিএনপির আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ায় সে পদেও আসতে পারে পরিবর্তন।
বিএনপির নতুন মহাসচিব কে হচ্ছেন? এ প্রশ্নে শোনা যাচ্ছে চার কেন্দ্রীয় নেতার নাম। এর মধ্যে প্রথমেই আছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান। আলোচনায় আছেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ আরও কয়েকজন।
জ্যেষ্ঠ নেতারা বলছেন, মহাসচিবসহ বড় পদে পরিবর্তন নিজ ক্ষমতা বলে যে কোনো সময়েই করতে পারেন দলের চেয়ারম্যান। তবে তা জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে হওয়া ভালো।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এগিয়ে যেতে হলে দলের সদস্যদের পদায়ন বা পদ পরিবর্তন খুবই স্বাভাবিক ও চলমান প্রক্রিয়া। এখন কিছু পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে, প্রয়োজনে সামনেও আসবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান বলছেন, নিয়ম মোতাবেক বিএনপি সবসময়ই কাউন্সিল করতে চায়। কাউন্সিলের মাধ্যমে দলের বিভিন্ন পদে নানা পরিবর্তন আসবে এটি খুব স্বাভাবিক ও চলমান প্রক্রিয়া।
শুধু মহাসচিব বা স্থায়ী কমিটিতে নতুন মুখ নয়, তৃণমূল শক্তিশালী করতেও কাজ শুরু করছে বিএনপি। ত্যাগী নেতাদের সামনে আনতে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।
বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাঈদুল আলম বাবুল বলেন, তৃণমূলে যে সকল নেতা-কর্মী দলের জন্য সবসময় ত্যাগী ছিলেন, দলের কথা সবার আগে ভাবেন; কমিটি পুনর্গঠনের সময় অবশ্যই তাঁদের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিএনপি করছেন নেতা-কর্মীরা। এঁদের মধ্য থেকে লিডারশিপে কে থাকবেন সেটা নির্বাচন করা কঠিন হবে না।
জাতীয় কাউন্সিল বা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব নির্বাচনে ত্যাগী ও উদ্যমী তরুণদের বেছে নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।