এবার বাড়ির পেছনের টয়লেটে আটকে রাখা হয়েছিল সুজিতকে। সেখানেই খাবার দেয়া হতো। মা, ভাই এবং ভাবী মিলে নিয়মিত সুজিতের দেখাশোনাও করতেন। আর টয়লেটের ভেতরেই মাথার নিচে বালিশ দিয়ে ঘুমাতো সে। এভাবেই প্রায় বছরখানেক ধরে টয়লেটের মধ্যেই আবদ্ধ তিনি।
গত সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে স্থানীয় একজন টয়লেটের নিচের ফাঁকা অংশ দিয়ে সুজিতকে দেখতে পান। পরে তিনি পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে সুজিতকে উদ্ধার করে।
এই ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাশিপাড়া এলাকায়। উদ্ধার হওয়া সুজিত দাস (৩৪) কাশিপাড়া এলাকার হরেন্দ্র দাসের ছেলে। উদ্ধারের পর তাকে স্বজনদের মাধ্যমে গোসল করিয়ে ভালো কাপড় পরানো হয়।
এদিকে নাসিরনগর থানার ওসি সোহাগ রানা জানান, সুজিত মানসিক ভারসাম্যহীন। ৭ থেকে ৮ বছর আগে তিনি তার চাচাকে আঘাত করেন। পরে সেই আঘাতে তার চাচার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর সুজিত জেল খাটে। জেল থেকে বের হয়ে আবার পাগলামি শুরু করে সুজিত। এতে পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। কাকে, কখন আবার আঘাত করে এ আতঙ্কে থাকতো পরিবার।
তিনি আরও জানান, পরিবারের স্বজনরা সুজিতকে অনেক চিকিৎসাও করায়। তাতেও তার কোনো কাজ হয়নি। পরে, নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে ছোট্ট একটি রুমে তাকে আটকে রাখে। এই রুমে সুজিত প্রায় ৮ থেকে ৯ মাস আটকা ছিল। সোমবার দুপুরে স্থানীয় একজনের মাধ্যমে খবর পায় পুলিশ। পরে পুলিশ এসে এই রুম থেকে সুজিতকে উদ্ধার করে।