বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে জলাবদ্ধতা থাকায় মারা যাওয়ার তিন দিন পরে উরফুল বেগম নামে এক নারীর মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ মে) বেলা ১১টার দিকে স্বজনরা কাঠের বাক্সে করে পানির মধ্যেই তাকে দাফন করেন। উরফুল বেগম (৮২) মোরেলগঞ্জ উপজেলার বারুইখালী ইউনিয়নের পায়রাতলা গ্রামের হোসেন আলী হাওলাদারের স্ত্রী। তার সাত ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে।
এর আগে রোববার (২৬ মে) রাতে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। বাড়ির আশপাশে পানি থাকায় ওই নারীর মরদেহ দাফন নিয়ে শঙ্কায় পড়েন ছেলে দেলোয়ার হাওলাদার। পরে বিশেষ পদ্ধতিতে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন মায়ের মরদেহ। ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের তীব্রতায় দাফন করা সম্ভব হয় না।
ছেলে দেলোয়ার হাওলাদার বলেন, মা মারা গেলেও, জলাবদ্ধতার কারণে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। তিনদিন পর পানি একটু কমলে মাকে কবর দিতে পেরেছি।
বারুইখালী ইউনিয়নের নারী ইউপি সদস্য হালিমা বেগম বলেন, ওই নারী মারা গেছে ঘূর্ণিঝড়ের প্রথম দিনে। খবর পেয়ে গ্রাম পুলিশ ঘরের আড়ার সঙ্গে বিশেষ পদ্ধতিতে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখতে বলেন। পানি একটু নামার পর তার দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।