বাংলাদেশের বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে অংশীদারত্ব চুক্তির আলোচনা স্থগিত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম দফার এই আলোচনা শুরু হওয়ার কথা ছিল।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক মুখপাত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আলোচনার জন্য নতুন কোনো তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির আওতায় একটি দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা দিয়ে থাকে।
গত বছরের ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণ ও বিকাশের লক্ষ্যে নতুন ইইউ-বাংলাদেশ অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির বিষয়ে আলোচনা শুরুর সিদ্ধান্ত হয়। ব্রাসেলসে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েন।
এর আগে, বাংলাদেশে সহিংসতার ইস্যু নিয়ে কথা বলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফরেন পলিসিপ্রধান জোসেফ বোরেল। তিনি আন্দোলনকারীদের ওপর বল প্রয়োগের নিন্দা জানান। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) এ তথ্য জানায় বার্তা সংস্থা এএফপি।
জোসেফ বোরেল বিবৃতিতে জানান, বিক্ষোভকারী ও অন্যদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বল প্রয়োগের অসংখ্য ঘটনাকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। এ ছাড়া মৌলিক অধিকারের প্রতি ‘পুরোপুরি শ্রদ্ধা’ বজায় রাখতে হবে বলেও দাবি করেন তিনি।
এ ছাড়াও গত ২৯ জুলাই স্থানীয় সময় সোমবার জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বাংলাদেশ ইস্যুতে জাতিসংঘ খোঁজ রাখছে বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, মহাসচিব বর্তমান ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত তরুণদের গণগ্রেপ্তার এবং রাজনৈতিক বিরোধিতার বিষয়ে উদ্বিগ্ন। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিবেদনে নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ ওঠে আসছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মহাসচিব বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি সোমবার ছাত্র বিক্ষোভ আবার শুরু হওয়ার খবর জেনেছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে শান্ত ও সংযমের জন্য তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। মহাসচিব বর্তমান ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত তরুণদের গণগ্রেপ্তার এবং রাজনৈতিক বিরোধিতার বিষয়ে উদ্বিগ্ন।